রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: চীন, মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বাংলাদেশ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশন চলাকালে চীনের উদ্যোগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় বসতে পারে বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
আগামী ২৫ অথবা ২৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এই বৈঠক হবে বলে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির রোহিঙ্গা বিষয়ক বিশেষ সভায় জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
সভা শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি কর্নেল ফারুক বলেন, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আসিয়ান দেশগুলো সফর করে সেসব দেশের সরকার ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথে আলোচনা করবেন।”
জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মঙ্গলবারের বৈঠকে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি ও দেশটির সর্বশেষ অবস্থান নিয়ে বিশেষ আলোচনা করা হয়।
ফারুক খান বলেন, “চীন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তরিক। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য চীনের উদ্যোগে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সভার আয়োজন করেছে।”
তিনি বলেন, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন ত্রিদেশীয় এই বৈঠক হবে। বৈঠকটি সেপ্টেম্বরের ২৫ অথবা ২৬ তারিখে হতে পারে।”
পদাধিকার বলে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, “চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় এই সভা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এই বৈঠক হবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের। সেখানে তিন দেশের মন্ত্রীরাই উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মিয়ানমার ও চীনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে বৈঠকের তারিখ এবং সময় নির্ধারণ করবেন।”
এর আগে ৩০ আগস্ট চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে ত্রিপক্ষীয় ওই বৈঠকের কথা তাঁকে জানান।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যোগসূত্র হয়ে কাজ করতে চায় চীন। এর আগে চীনের রাজধানী বেইজিং এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। তবে কোনো মতৈক্য হয়নি।
ফারুক খান বলেন, “আমি নিজেও ওই বৈঠকে থাকব। আমরা চাই, মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করুক যাতে রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় সেদেশে ফিরে যেতে পারে।”
সূত্র: সাউথএশিয়ানমনিটরডটকম