parbattanews

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: প্রথম ধাপে হিন্দুরা ফিরছে রাখাইনে

ঘুমধুম প্রতিনিধি:

আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করবে মিয়ানমার। শুরুতে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু ধর্মালম্বীদের ফেরত নেয়া হবে।

বুধবার(২৭ ডিসেম্বর) এমন তথ্যই জানিয়েছেন মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী ড. উইন মিয়াত আইয়ি। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইটস অব মিয়ানমার এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

মিয়ানমারের প্রশাসনিক রাজধানী নেপিদোতে দেশটির জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে পুনর্বাসনমন্ত্রী জানান, প্রত্যাবাসনের প্রথম ধাপে ২২ জানুয়ারি সীমান্তে ৪৫০ হিন্দু শরণার্থীকে ফেরত নেয়া হবে।

প্রত্যাবাসনের পুরো প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৬ সালে যেসব রোহিঙ্গা এসেছে, শুধু তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য বিবেচনা করা হবে। এ প্রত্যাবাসন হবে কয়েকটি ধাপে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার প্রস্তাব দিয়েছে। সম্প্রতি এই সংস্থার ডেপুটি হাইকিমশনার কেলি ক্লেমেন্টস বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইনের পরিস্থিতি এখনও নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত নয়। এখনও শরণার্থীরা পালাচ্ছেন।

গত ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে সহিংসতা জোরালো হওয়ার পর হত্যা-ধর্ষণসহ সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ছয় লাখেরও বেশি মানুষ। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ঘটনায় খুঁজে পেয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধের আলামত। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এ ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। রাখাইনের সহিংসতাকে জাতিগত নিধন আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।

Exit mobile version