parbattanews

রোহিঙ্গা শিবিরে ভূমিধসে নিহত ১, গৃহহীন ৪ হাজার

রোহিঙ্গা শিবিরে এক শরণার্থী নিহত ও সাড়ে চার হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে

হঠাৎ টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে এক শরণার্থী নিহত ও সাড়ে চার হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। শিবিরে কর্মরত ত্রাণ কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ৭২ ঘণ্টায় ৩৫ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের পর শনিবার থেকে শিবিরের বিভিন্নস্থানে ভূমিধস শুরু হয়।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। বর্তমানে বাংলাদেশের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে বাস করা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখেরও বেশি।

উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে শনিবার থেকে ২৬টি ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। বসতি নির্মাণ ও জ্বালানি সংগ্রহের জন্য গাছ কাটায় শিবিরে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকে ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলেছে।

কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ৪০ বছর বয়সী নূর মোহাম্মদ বলেন, ভূমিধসের শিকার হয়ে আশ্রয়হীন হয়ে তার সঙ্গে আরও ১২ আত্মীয় আশ্রয় নিয়েছে। তিনি বলেন, আমার বাড়ি ভর্তি হয়ে গেছে। এত মানুষ খাওয়াবো কীভাবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি আমি।

২০১৭ সালে মৌসুমি ঝড়ের কবলে পড়ে শিবিরের ১৭০ শরণার্থী নিহত হয়। গত বছর ভূমি ধস ও বন্যার আশঙ্কায় প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে কোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও সংস্থা প্রস্তুত রয়েছে। কুতুপালং শরনার্থী শিবিরে মাটি চাপা পড়ে এক রোহিঙ্গা নারী নিহত ছাড়া এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের দুর্ঘটনা খবর পাওয়া যায়নি।

Exit mobile version