রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে জাপান
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছে।
জাপান সরকার ২০১৭ সালে এ সংকট শুরুর পরপরই রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা হিসাবে ৪ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করে। একই বছর রোহিঙ্গা শিশু, নারী এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থানীয়দের জরুরি মানবিক সহায়তার জন্য জাপান ১৫.৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছিল। সংকটের প্রথম ছয় মাসে অতি প্রয়োজনীয় এ সহায়তা পাওয়ায় ইউনিসেফ তাদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পেরেছিল এবং এজন্য সংস্থাটি জাপান সরকার ও জনগণের কাছে সে সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিল।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘তারো কোনো’ মিয়ানমারকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নিতে অনুরোধ জানায়। জাপান সে সময় মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের জন্য ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেয়। রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে জাপান মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত। জাপান সরকার এবং জনগণ রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি তাদের নিরাপদে, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণভাবে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাবে। ২০১৯ সালে জাপান রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা হিসাবে ৯৯.২ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল।
জাপান সরকার সংকট সমাধানে সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে এবং জাপান বিশ্বাস করে যে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে দ্রুত, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই এ সংকটের সমাধান সম্ভব হবে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইন রাজ্যে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করা মিয়ানমারের জন্য অপরিহার্য। জাপান রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারকে ‘আরও জোরালো পদক্ষেপ’ গ্রহণ করার আহ্বান জানায় এবং এ সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত জাপান সরকার মিয়ানমারকে এ অনুরোধ জানিয়ে যাবে।
২০১৯ সালে জাপান রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিল এবং দুই দেশের মধ্যে সংলাপ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছিল। জাপান রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধান চায়; তাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান উদ্বেগজনক বলে মনে করে। জাপান বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চলমান আলোচনায় সহায়তা করতে আগ্রহী যাতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত হয়।
জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। জাপান এ দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। জাপান উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে এ সমস্যার সমাধানে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। উভয় দেশে জাপানের ব্যাপক বিনিয়োগ রয়েছে। ৩১০টি জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা দিয়ে থাকে। দায়বদ্ধতা ও নৈতিকতাবোধ থেকে জাপান রোহিঙ্গা সমস্যার শুরু থেকেই নীরবে কাজ করে যাচ্ছে এবং এর সমাধানের জন্য তৎপর রয়েছে।
বাংলাদেশে কর্মরত জাপানের রাষ্ট্রদূতরা বিভিন্ন সময়ে বহুবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। জাপানিরা ব্যক্তি, সাংগঠনিক, সরকারি ইত্যাদি নানা পর্যায়ে সমস্যাটির একটি স্থায়ী ও টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জাপানের জনগণ, বিভিন্ন সংগঠন ও জাপান সরকার অবিরত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর সহায়তা চলমান রেখেছে। কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, প্রত্যাবাসন ও বাস্তু সমস্যা সমাধানকল্পে জাপান সরকার মিয়ানমার সরকার, আসিয়ান ও জি-৭ ইত্যাদি নানা আন্তর্জাতিক সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে। জাপান প্রলম্বিত রোহিঙ্গা সমস্যার একটি টেকসই সমাধান চায় এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশকে যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ব্যাপক উপস্থিতি কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে জাপান। ‘অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক’ বাস্তবায়ন করা গেলে তা এ অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য কাজ করে যাবে।
২০২২ সালের ২২ নভেম্বর ভাসানচরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য জাপান ও জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপি) মধ্যে ৩.৭ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছে। ভাসানচরে আশ্রয় নেওয়া বিভিন্ন বয়সি নারীদের নিরাপত্তা এবং কিশোর ও যুবকদের ক্ষমতায়নের জন্য এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাকেই শুনসুকে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমানে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য একটি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ক্যাম্পে নতুন শিশুর জন্মের ফলে তাদের সংখ্যা বাড়ছে। রোহিঙ্গাদের অনেকেই মাদক ও অস্ত্র পাচারের সঙ্গে জড়িত।
গত পাঁচ বছরে কোনো রোহিঙ্গাই দেশে ফিরে যেতে পারেননি। প্রত্যাবাসন চেষ্টা বারবার ব্যর্থ হলেও সরকার উন্নত দেশগুলোকে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের তৃতীয় কোনো দেশে স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়ে আসছে। জাপান কিছু রোহিঙ্গাকে সেদেশে পুনর্বাসনের কথা ভাবছে বলে জানিয়েছে জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
জাপান ২০২২ সালে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য ২ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছে, ২০২১ সালে এ বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। জাপান কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা শিবিরের ভেতরে রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রার সংকট নিরসনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
মিয়ানমারের রাখাইনের পরিস্থিতি নিরাপদ না হওয়ায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হচ্ছে না। জাপানের ‘বিশেষ প্রতিনিধি’ নিপ্পন ফাউন্ডেশন এবং সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইউহেই সাসাকাওয়ার মধ্যস্থতায় রাখাইনে ২০২২ সালের জুলাই থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে শুরু হওয়া যুদ্ধ বন্ধে রাজি হয় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরপর যুদ্ধরত দুপক্ষ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। এর ফলে রাখাইন অঞ্চলে এখন আপাত শান্তি বিরাজ করছে। ইউহেই সাসাকাওয়া মিয়ানমার সরকার ও সেখানকার বিভিন্ন অঞ্চলের সশস্ত্র আন্দোলনকারীদের মধ্যে ‘জাতীয় ঐক্যের’ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০১৯ সালেও সাসাকাওয়ার মাধ্যমে আরাকানে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল।
২০২০ সালে জাপান সরকার তাকে মিয়ানমারে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের প্রধান করে পাঠায়। সে সময় এনএলডির সঙ্গে আরাকান আর্মির সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল, তবে সাসাকাওয়ার মধ্যস্থতায় আরাকানে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বোঝা যায় রাখাইনের রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছে সাসাকাওয়ার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে জাপান বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রেখে মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবে বলে জানিয়েছে।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে জাপানের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ২০১৭ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এনজিওগুলোর মাধ্যমে কক্সবাজারের পাশাপাশি ভাসানচরে বিভিন্ন সহযোগিতামূলক কার্যক্রমে ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে জাপান। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, পানি স্যানিটেশন স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ), আশ্রয়, সুরক্ষা এবং লিঙ্গভিত্তিক সহায়তা। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ও মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে জাপান সরকার ও ইউএনএইচসিআরের মধ্যে ২২ ফেব্রুয়ারি ৪.৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই হয়েছে।
এ সহায়তায় কক্সবাজার ও ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম বাড়বে। এর ফলে রোহিঙ্গারা ক্রমহ্রাসমান মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সক্ষম হবে। এর পাশাপাশি স্থানীয় সম্প্রদায়ের ঝুঁকিতে থাকা নারীরা বিভিন্ন কারুশিল্প তৈরির প্রশিক্ষণ ও নতুন আয়ের সুযোগ পাবে। ভাসানচরে জাপানের এ সহায়তায় ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও জীবিকামূলক কার্যক্রম সম্প্রসারণে কাজ করবে। জাপান সরকার ইউএনএইচসিআর এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা ও এনজিওকে এ পর্যন্ত ২০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে।
কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নয়ন ও আশ্রয়কেন্দ্রের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায় (আইওএম) ৫.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান সরকার। দেশটি রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে আইওএম ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা করবে। জাপান সরকারের এ অব্যাহত সহায়তা আরও ভালো বসতি, সুরক্ষা ও জীবিকার সুযোগ নিশ্চিত করবে।
সাইট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাইট ডেভেলপমেন্ট (এসএমএসডি) প্রকল্পের মাধ্যমে ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রার অবস্থার উন্নয়ন হবে এবং তা উন্নত জীবিকার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে রোহিঙ্গা নারী ও যুবকদের আত্মনির্ভরশীল করবে। জাপান আইওএম ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশের এনজিওগুলোতে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তা করেছে। দেশটি রাখাইনের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উন্নয়নে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সহায়তা করতে পারে। এর ফলে দারিদ্র্যপীড়িত রাখাইনের জনগণের জীবনমান উন্নত হবে এবং রাখাইনে বসবাসকারী রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের মধ্যে চলমান বৈষম্য কমে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন হবে।
জাপানের নিপ্পন ফাউন্ডেশন রাখাইনে সাফল্যের সঙ্গে মানবিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভূমিকা রেখেছে। চীন ও রাখাইনদের কাছে এ সংস্থাটি এবং এর চেয়ারম্যানের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এ পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে তারা রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি করে চলমান পরিস্থিতির উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। রাখাইনে উপযুক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা গেলে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের আত্মকর্মসংস্থানের প্রশিক্ষণ দিলে তারা নিজ দেশে ফিরে গিয়ে রাখাইনের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখতে পারবে।
রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোর ক্রমঅবনতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জাপান রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করতে পারে। আরও বেশিসংখ্যক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের লক্ষ্যে জাপান ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো একত্রে নতুন অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোর ওপর থেকে চাপ কমিয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।
রোহিঙ্গা সংকটের ষষ্ঠ বছরে চলছে। চলমান বৈশ্বিক সমস্যার কারণে এ নিপীড়িত জনগোষ্ঠী অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি। তাই জাপানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রাখা। এ যাবতকাল জাপানের গৃহীত কার্যক্রম প্রশংসনীয় হয়েছে এবং ভবিষ্যতে জাপানের সক্রিয় অংশগ্রহণে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের পথে এগিয়ে যাবে, এটাই প্রত্যাশা।
লেখক: মিয়ানমার ও রোহিঙ্গাবিষয়ক গবেষক