parbattanews

রোহিঙ্গা সমস্যায় স্থানীয় জনগন ক্ষতিগ্রস্ত

রোহিঙ্গা ক্যাম্প (সংগৃহীত ছবি)

মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে উখিয়া টেকনাফের বিশাল বনভূমিতে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। দ্রুত বর্ধমান এ সমস্যা এখন একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রোহিঙ্গারা এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, হত্যা, ইয়াবা ব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে স্থানীদের অতিষ্ট করে তুলেছে।এনজিওদের কারেণে উখিয়া-টেকনাফ সড়ক এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।

ধুলোবালি ও গাড়ির হরণ এলাকার আকাশ বাতাস দুষিত করে তুলেছে।বাসা ভাড়া বেড়েছে ৫ গুণ। সরকার বারবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নিলেও এনজিওদের অসহযোগিতার কারনে তা ভেস্তে যায়।

নিজ দেশে ফিরে না যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা, মিটিং, মিছিল, প্রতিবাদ সভা, নানান শ্লোগানে লিখিত ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া। এভাবে ১৯৯২ সাল থেকেই এনজওিগুলো তাদের মানবতার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটে। সর্বপ্রথম স্থানীয়রা তাদের আশ্রয়, খাবার ও বস্ত্র দিয়ে রক্ষা করেছে। যে সব পাহাড়ে ক্ষেত-খামার করে স্থানীয়দের জীবিকা চলতো সেটাও কেড়ে নেয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা সর্বস্ব হারিয়ে সব অত্যাচার ভোগ করছে। পক্ষান্তরে এনজিওগুলো কক্সবাজার জেলার বাইরের লোক নিয়োগ দিয়ে মানবতার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকেরা এখনো একটা ভালো চাকরির আশায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ফাইল নিয়ে ঘুরছে।

প্রতিটি এনজিও নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের বাদ দিয়ে বাইরের লোকদের চাকরিতে নিয়োগ দিয়ে থাকে। জাতিসংঘের সেবা সংস্থাগুলোর অবস্থা আরো খারাপ। কিছু স্থানীয় নিম্নমানের পদে চাকরি করলেও কারনে অকারনে তাদের ছাটাই করা করে বাহিরের লোকদের প্রমোশন দেয়া হয়। বর্তমানে সব এনজিওতে বাহিরের লোক দিয়ে কানায় কানায় পুর্ণ।

সদ্য চাকরিচ্যুত এক এনজিওকর্মী জানায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে প্রজেক্টের মেয়াদের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে গণহারে স্থানীয়দের ছাটাই করা হয়েছে।ভাগ্যকে মেনে নিয়ে সবাই নীরব রয়েছে। প্রতিবাদ করলে চাকরি না জুটলেও মামলা জুটে। তাই নীরবে সহ্য করতে হচ্ছে স্থানীয় ছেলে/মেয়েদের।

পরিকল্পিত উখিয়া চাইয়ের আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার শিক্ষিত ছেলে/মেয়েদের চাকরির অগ্রাধিকারের কথা বলেছিলেন। অথচ এনজিওগুলো এসব পাত্তা না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছে মতো কাজ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে এনজিওগুলো বিরানীর প্যাকেট ও পানির বোতল দিয়ে প্রশাসনের সাথে রুটিন মাফিক দায়সারা সমন্বয় সভা করে যাচ্ছে।

সচেতন মহল মনে করেন, বেকার সমস্যা দূরীকরণে স্থানীয় নেতৃত্ব ও প্রশাসনের সমন্বয় না থাকায় এসব অরাজকতা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি অনতিবিলম্বে কক্সবাজার জেলার বাহিরের লোকদের (টেকনিক্যাল পোস্ট ব্যতীত) চাকরি হতে ছাটাই করে স্থানীয় শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ প্রদান করতে হবে। সকল এনজিওর নিয়োগ প্রক্রিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে সম্পন্ন করতে হবে।

Exit mobile version