parbattanews

রোয়াংছড়িতে খানাখন্দে ভরা জরাজীর্ণ স্কুলে পাঠদান

রোয়াংছড়ি প্রতিনিধি:

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নে পূর্ব বাঘমারা বিগ্নসেন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খানাখন্দে ভরা ও জরাজীর্ণ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হচ্ছে। ওই স্কুলের চালে ঢেউ টিন অনেক পুরানো হওয়ায় ব্যাপক ছিদ্র হয়ে গেছে। স্কুলে প্রতিটি ক্লাস রুমে মেঝেতে খানাখন্দ থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস করা অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা ভিজা ড্রেস নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে। ওই স্কুলের শিক্ষকদেরও একই অবস্থায় নিয়মিত পাঠদান করতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের বারান্দা হতে শুরু করে প্রতিটি ক্লাস রুমে খানাখন্দ অবস্থাতে রয়েছে। স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেশি। জানা গেছে ওই স্কুলে প্রাথমিক সমাপণী পরীক্ষা (পিএসসি) কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার কর হয়। নোয়াপতং ইউনিয়নে পাশ্ববর্তী এলাকার প্রত্যেক স্কুল থেকে বিগ্নসেন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে প্রাথমিক সমাপণী পরীক্ষা (পিএসসি) অংশগ্রহণ করে।

বিগ্নসেন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিত তঞ্চঙ্গ্যা বলেন (বাঘমারা পূর্ব পাড়া) বিগ্নসেন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি আছে। পঞ্চম শ্রেণি ছাত্র-ছাত্রীদের সমাপণী পরীক্ষা কেন্দ্র অনুষ্ঠিত হয় এ স্কুলে। তবে দুঃখের বিষয় জনবহুল এলাকার গুরুত্বপূর্ণ হয়েও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিকে তাকালে কষ্ট হয়, কেনানা বহুদিন ধরে বিদ্যালয়টি মেঝেতে প্লাস্টারগুলো উঠে যাচ্ছে। কিছু অংশ হিসেবে ২০১৫-১৬ অর্খ সালে স্কুল মেরামতে জন্য পিডিবি-৩ থেকে বরাদ্দ পেয়েছি। সে টাকা দিয়ে কেবল কিছু অংশ মেরামত করা হয়েছে। বাকীগুলো খানাখন্দ অবস্থা রয়েগেছে। শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুম হিসেবে ব্যবহার করা অযোগ্য হয়ে পড়েছে কিন্তু বর্তমানে মেরামত করার মতো কোন বরাদ্দ পাইনি। বর্তমানে বর্ষার মৌসুম স্কুল চালে ঢেউটিনগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক পরিমাণে বড় বড় ছিদ্র হয়েছে। এটা মেরামত করার জন্য কেউ নেই, কয়েকবার কর্তৃপক্ষের নিটক অবহিত করা হয়েছে। ওইখান থেকে কোন ফলাফল আসেনি। আমাদের শিক্ষকরা ঝরবৃষ্টির মধ্যে ভিজে প্রতিনিয়ত ক্লাস নিতে হচ্ছে। এমতাবস্থা থেকে সুরাহা চাই বলে জানান বিশ্বজিত তঞ্চঙ্গ্যা।

বিগ্নসেন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসএমসি কমিটি সভাপতি ও সহকারি শিক্ষক অংসাহিং মারমা বলেন, এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এ স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ১৩টি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী সমাপণী পরীক্ষা অংশ গ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে স্কুল ভবনটি নতুন ভাবে শীঘ্রই করা প্রয়োজন। তা না হলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। যোগাযোগ সুবিধার কারণে শিক্ষার্থী সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। শ্রেণি কক্ষ সম্প্রসারণ করা দরকার বলেও জানান।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত মো. কামাল হোসেন বলেন, ওই স্কুলের জন্যে এই  ২০১৭-১৮ অর্থ সালে পুরো ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে তালিকা পাঠিয়েছি, এটা পিডিবির আন্ডারে স্কুলটি নতুন ভবন শীঘ্রই নির্মাণ করা হবে। আগে কমিউনিটি স্কুল ভাঙ্গা অবস্থা ছিল। জাতীয় করণ হিসেবে উন্নিত করা হচ্ছে তেমন বেশি বছর হয়নি। কেবল গত ২০১৩ সালে সরকারিকরণ করা হয়ে ছিল। বর্তমানে নতুন ভবন নির্মাণের ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে।

Exit mobile version