লংগদুতে মরহুম আব্দুর রশীদ সরকার হত্যাকাণ্ড স্মৃতিস্তম্ভটি তুলে ফেলায় নানা প্রতিক্রিয়া
লংগদু উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুর রশিদ সরকারকে হত্যাকাণ্ডের স্মৃতিস্তম্ভটি তুলে ফেলায় নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে জনমনে। এনিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় নানা মন্তব্য করে এঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন জনে।
সূত্র জানায়, ১৯৮৯ সালে তৎকালীন শান্তিবাহিনী নামক সন্ত্রাসী সদস্যরা উপজেলা সদরের সন্নিকটে তিনটিলাস্থ বিএডিসি গোডাউনের সামনে রাস্তায় মোটরসাইকেল থামিয়ে প্রথম নির্বাচিত লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুর রশীদ সরকারকে ব্রাশফায়ার করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
তার পরে সেখানে আব্দুর রশীদ সরকার হত্যাকাণ্ডের একটি স্মৃতি স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলা হয়। বিএডিসি কর্তৃপক্ষ বর্তমানে সেখানে গোডাউনের প্রাচীর সীমানা নির্মাণের অজুহাতে স্মৃতিস্তম্ভটি তুলে ফেলেছে বলে এলাকারবাসীরা জানায়।
এলাকার সচেতন নাগরিক এবিএস মামুন জানান, সীমানা প্রাচীর নির্মাণের নামে এলাকার সাবেক জনপ্রিয় ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি সরিয়ে ফেলতে পারে না। তিনি এই স্মৃতি ফলকটি রক্ষার জন্য বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল বারেক সরকার এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এ্যডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভি জানান, এ ধরনের কাজ কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না, তাই কর্তৃপক্ষের যথাযথ দ্বায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করছি।
লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাইনুল আবেদীন জানান, এই ফলকটি যে বা যারা খুলে ফেলেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর এই ফলকটি আগামীকাল এর মধ্যে পুনরায় স্থাপন করা হবে।