parbattanews

লক্ষীছড়িতে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারে নির্মিত ঘর অবৈধ সুবিধা নিতে গিয়ে কর্মচারী নাজহাল!

খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলার দুর্গম মহেষকাটা গ্রামে ভূমি ও গৃহহীন সুবিধাভোগী পরিবার থেকে অবৈধ সুবিধা যাওয়ায় নাজেহালের শিকার হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ের কর্মচারী মো. এরশাদ হোসেন! এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

সরকারি ঘরের সুধিধাভোগী মো. রতন মিয়া ও নির্মাণ কাজের তত্ত্ববধায়ক ( নৈশ প্রহরী) মো. এরশাদ হোসেন জানান, উপজেলার দুর্গম মহেষকাটা এলাকার মো. আমজাদ হোসেন এর ছেলে মো. রতন মিয়া একজন ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের তালিকায় সরকারীভাবে ঘর বরাদ্দ প্রাপ্ত হয়। ঘর নির্মাণে সকল মালামাল ও তদারকি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) কার্যালয়ের নৈশ প্রহরী মো এরশাদ হোসেন। ঘর নির্মাণে সুবিধাভোগী রতন মিয়া নিজ থেকে অতিরিক্তি অর্থ ব্যয়ে ঘরের নকশা পরিবর্তন করে নির্মাণ কাজও শেষ করেন! তবে এখনো টয়লেট নির্মাণের বরাদ্দ সামগ্রী না পাওয়ায় ঘরে বসবাস শুরু করেনি রতন! গত ২৬ জানুয়ারি (বুধবার) বিকেল ৩টার পর মো. এরশাদ হোসেন সুবিধাভোগী রতন মিয়ার বাড়িতে গিয়ে অসমাপ্ত কাজ শেষ করার শর্তে এবং সরকারি ঘরের নকশা পরিবর্তন করায় রতনের কাছে ২০০০০ হাজার টাকা দাবি করেন! এতে দুই জনের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে রতনের স্ত্রী রোজিনা বেগমের সামনে রতন মিয়াকে কিলঘুষি মারেন এরশাদ! এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাল্টা আঘাত করেন রতন।

পরে এ ঘটনায় রাতে মহেষকাটা মো. রতন মিয়ার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। এতে ভয়ে পালিয়ে যায় রতন মিয়া! এদিকে কর্মচারী মো. এরশাদ হোসেন জানান, রতন মিয়া একটি নির্বাচনী মামলার আসামি। তার অসমাপ্ত ঘরের কাজ শেষ করতে গেলে আমার ওপর অতর্কিত তেড়ে আসে এবং আমাকে মারধর করেন। আমি এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

লক্ষীছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবীর পার্বত্যনিউজকে জানান, সরকারি ঘরের নির্মাণ তদারকি করতে গিয়ে নৈশ প্রহরী মো. এরশাদ হোসেন বাধা প্রাপ্ত ও সামান্য মারধরের ঘটনায় সুবিধাভোগী মো. রতন মিয়াসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলা নং-১, তারিখ,২৭.০১.২২খ্রি. আসামি ধরার চেষ্টা চলছে।

Exit mobile version