লক্ষ্মীছড়ি প্রতিনিধি :
খাগড়ছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি’র ১০ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করে সেনাবাহিনী। সোমবার দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মুহম্মদ নুরুল আমিন, পিএসসি আমন্ত্রিত অতিথিদের অভ্যর্থনা ও শুভেচ্ছা জানানোর পর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তোফায়েল আহমেদ, পিএসসি।
এ সময় জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর ফারুকী, গুইমারা বিজিবি সেক্টার কমান্ডার কর্ণেল মো. আকরামুল হক, এসপিপি, পিএসসি, মাটিরাঙ্গা জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, পিএসসি,জি, রামগড় জোন কমান্ডার লে. কর্নেল এম জাহিদুর রশীদ, পিএসসি, মহালছড়ি জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মুহিব, সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডারের প্রতিনিধি ক্যাপ্টেন তৌহিদ, লক্ষ্মীছড়ি জোনের এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন জাওয়াদ ছাড়াও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শওকত ওসমান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য রেম্রাচাই চৌধুরী, ভাইস চেয়াম্যোন বেবি রানী বসুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদ মাঠে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিবৃন্দ এবং এলাকার হাজার হাজার দর্শক। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে সকলের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তোফায়েল আহমেদ, পিএসসি বলেন, সবাই মিলে এলাকার জন্য কাজ করলে উন্নয়ন হবেই। সকল বিভেদ ভুলে তিনি পাহাড়ি-বাঙ্গালিসহ সবাইকে শান্তির স্বার্থে সাংস্কৃতিক মঞ্চে যেভাবে সবাই একত্রিত হয়েছে সেভাবেই কাজ করার আহবান জানান।
এদিকে বিনোদন বঞ্চিত লক্ষ্মীছড়িবাসীর জন্য এটি ছিল এক অন্যরকম বিকেল। দুপুরের পর থেকেই দুর-দুরান্ত থেকে দর্শকরা মাঠে আসতে শুরু করেন। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগেই মাঠ ভরে যায় দর্শকে। ১৬ফিল্ড রেজিমেন্টে আর্টিলারি’র প্রতিষ্ঠা বাষিকীর গান পরিবেশেনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু। পরে একে একে মঞ্চে আসেন স্থানীয় ও অতিথি শিল্পীরা। দর্শক মাতান চট্টগ্রাম থেকে আসা অতিথি শিল্পী শাপলা পাল, ফেরদৌসী আক্তার সুমী, খাগড়াছড়ি ক্রাউরী মারমা ও লক্ষ্মীছড়ির আই.ভি।
সৈনিক সুমনের মি. বিনের মুখাভিনয়, ল্যান্স করপোরাল কামরুজ্জামানের যাদু দেখে মুখদ্ধ হন সকলেই। এছাড়া অনুষ্ঠানের বর্ষা চাকমার বোতল নৃত্য ছিল বারতি আকর্ষণ।