ড. ইউনূস এবং তারেক রহমান বৈঠকের সর্বশেষ যা জানা গেল

fec-image

লন্ডনের পার্ক লেনের বিলাসবহুল হোটেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আগ্রহ ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বৈঠকটি দুপুর ২টায় নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শুরু হয়ে এক ঘণ্টা দুই মিনিট পর্যন্ত চলে।

বৈঠক নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে একে ‘ঐতিহাসিক ও দিকনির্দেশনামূলক’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। বৈঠকের আগমুহূর্তে তারেক রহমান নিজ বাসা থেকে সময়মতো বেরিয়ে আসেন, যা এই আলোচনার গুরুত্বকেই প্রতিফলিত করে। যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরাও হোটেলের বাইরে অবস্থান নিয়ে তাকে স্বাগত জানান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রেস উইংয়ের প্রেস সচিব শফিকুল আলম, যারা তারেক রহমানকে বৈঠকস্থলে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান।

বৈঠকের আগে অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ করমর্দন ও হাস্যোজ্জ্বল মুহূর্ত বৈঠকের আবহকেই ইতিবাচক করে তোলে। একজন সরকারপ্রধান ও একজন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার এমন আন্তরিকতায় ভবিষ্যতের জন্য আশার সঞ্চার হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন পর্যবেক্ষকরা।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, বৈঠকে মূলত রাজনৈতিক সংস্কার, নির্বাচনকালীন ব্যবস্থা এবং চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা, নিরপেক্ষ নির্বাচন, জাতীয় ঐক্য এবং গণতান্ত্রিক কাঠামো পুনঃপ্রতিষ্ঠার মতো বিষয়গুলো আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে।

বিশেষ করে সম্প্রতি ভোটের তারিখ ও নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো নিয়ে বিএনপি ও সরকারের মধ্যে যে স্নায়ুযুদ্ধ সৃষ্টি হয়েছে, সেটির একটি সমাধানসূত্র এই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বৈঠক শেষে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, এই আলোচনা থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, তা তৃণমূল পর্যন্ত অনুসরণ করা হবে। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে লন্ডন থেকে দল পরিচালনার অভিজ্ঞতার আলোকে তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত দলের প্রতিটি স্তরে গ্রহণযোগ্য হবে বলেই বিশ্বাস করা হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বৈঠকটি জাতিকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার পথ দেখিয়েছে। এখন দরকার জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা এবং অতীতের ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়া।”

তিনি আরও বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আজকের বৈঠক প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশ যখন চায়, তখন ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। সেই ঐক্যের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে।”

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: তারেক রহমান, প্রধান উপদেষ্টা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন