বান্দরবানের লামায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেও থামছে না বালু উত্তোলন। বালু পাচারকারী সিন্ডিকেট রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মাতামুহুরী নদী হতে অব্যহত ভাবে বালু উত্তোলন করে চলেছে।গতকাল বৃহস্পতিবার লামা পৌরসভার টি.টি এন্ড ডি.সি এলাকায় মাতামুহুরী নদী হতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মিজানুর রহমান (১৮) নামক অবৈধ বালু উত্তোলনকারী ও ব্যবসায়ীকে এই জরিমানা করেন। মিজানুর রহমান (১৮) লামা পৌরসভার রাজবাড়ি এলাকার মোঃ মিলন এর ছেলে।জানা গেছে, লামা পৌরসভার ছাগল খাইয়া, হরিণঝিরি, শিলের তুয়া, রাজবাড়ী ও টি.টি এন্ড ডি.সি এলাকা সংলগ্ন মাতামুহুরী নদী হতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রতিটি পয়েন্টে ১০/১২ জনের সিন্ডিকেট তৈরি করে বালু উত্তোলন ও পাচার করা হচ্ছে। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে শিলের তুয়া ও চাম্পাতলী সংলগ্ন মাতামুহুরী নদীর উপর নির্মিত এলজিইডির ২টি ব্রিজ হুমকির মুখে পড়েছে। হরিণ ঝিরি ও ছাগল খাইয়া এলাকায় বিভিন্ন মানুষের বসত বাড়ি ভাঙ্গনের মুখে পতিত হয়েছে।লামা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও লামা উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার এই সকল এলাকায় বার বার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার পরও অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা থেমে থাকে নি। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গঠিত সিন্ডিকেট অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে চলেছে। বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্গন করে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বানিজ্যিক ভিত্তিতে মাতামুহুরী নদী হতে বালু উত্তোলন করছে।উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে বার বার দাবি উত্থাপন করা হলেও অবৈধ বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা করছে না।লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিন জানিয়েছেন, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট সহ অভিযান অব্যহত থাকবে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে উপজেলা প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।