লামায় পাহাড় কাটায় কোয়ান্টম ফাউন্ডেশনের পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা

বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বিচারে পাহাড় কাটার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক গঠিত সিন্ডিকেট গত চার মাসে উপজেলায় দুই শতাধিক পাহাড় কেটেছে বলে জানা গেছে।
গত শনিবার সরই ইউনিয়নে লম্বাখোলা নামক স্থানে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন অবৈধভাবে পাহাড় কাটলে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিন ভ্রাম্মমান অঅদালত পরিচালনা করে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেছে।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের কর্মচারী রাজশাহী জেলার পুঠিয়া এলাকার হাসমত আলীর ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২২) অর্থদন্ডের এই টাকা পরিশোধ করেছেন। বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ ধারায় এই জরিমানা করা হয়েছে। বোল্ড ড্রোজার ও স্কাভেটর দিয়ে ভাড়ায় এসকল পাহাড় কাটা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তায় পাহাড় কাটা ও অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় প্রশাসনকে অনেকসময় বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মূখিন হতে হয়। পরিবেশ আইনে পরিবেশ অধিদপ্তর প্রসিকিউশন অথরিটি হওয়া সত্তে¡ও এই উপজেলায় যথাসময়ে প্রসিকিউশনের অভাবে অপরাধীদের সাজা প্রদান করা সম্ভব হয় না।
গত কয়েক মাসে উপজেলার সরই ইউনিয়নে অবস্থিত কোয়ান্টম ফাউন্ডেশন স্কাভেটর ও বোল্ড ড্রোজার দিয়ে অসংখ্যা পাহাড় কাটলেও পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এছাড়াও ফাইতং ইউনিয়নে পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ করে ইটভাটায় সরবরাহ করা হলেও পরিবেশ অধিদপ্তর অপরাধীদের বিরুদ্ধে দায়সারাগোচর অভিযান পরিচালনা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকার জনসাধারণের পক্ষ থেকে লামা উপজেলায় নির্বিচারে পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসলেও পরিবেশ অধিদপ্তর নামমাত্র অভিযান ছাড়া উল্লেখযোগ্য আইনগত কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মঈন উদ্দিন জানিয়েছেন, অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, বালু উত্তোলন, ঝিরি উত্তোলন সহ পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। অপরাধী যতবড়ই হোক না কেন ছাড় দেওয়া হবে না।