লামার ইটভাটায় রাজস্ব কর্মকর্তাদের উপর হামলা


বান্দরবান পার্বত্য জেলার ইটভাটাগুলো হতে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ইট উৎপাদনের সঠিক তথ্য গোপন রেখে প্রতি বছর ভাটা মালিকগণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার মৌসুমী ইটভাটার অপরিশোধিত সরকারি রাজস্ব আহরণের স্বার্থে কাস্টমস্, এক্সসাইজ ও ভ্যাট, লামা সার্কেল এর রাজস্ব কর্মকর্তা নুরুল আলম (৪০) ফাইতং গমন করলে তাকে ও তার সঙ্গীয় রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ কবির উদ্দিন এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাঈফ উদ্দিন ভূঁইয়াকে ইটভাটার মালিক কর্তৃক শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
একই সাথে ইটভাটা মালিক মোঃ মিজানসহ আরও ১০-১২ জনকে সাথে নিয়ে এই দুইজন রাজস্ব কর্মকর্তার পকেটে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করে ভিডিও ধারণ করতে থাকে। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় রাজস্ব কর্মকর্তাগণ ইটভাটার মালিক মিজান ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের কবল থেকে নিজেদের রক্ষা করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এই ঘটনায় লামা থানায় রাজস্ব কর্মকর্তা নুরুল আলম বাদী হয়ে ইটভাটা মালিক মো. মিজান (৪১) ও অজ্ঞাতনামা ১০/১২কে আসামি মামলা করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব কর্মকর্তা নুরুল আলম, রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ কবির উদ্দিন এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাঈফ উদ্দিন ভূঁইয়াকে সাথে নিয়ে মৌসুমী ইটভাটার অপরিশোধিত রাজস্ব আদায়ের জন্য উপজেলার ফাইতং গমন করেন। রাজস্ব কর্মকর্তাগণ ইউএমবি ও এনআরবি ইটভাটার মালিক মোঃ মিজানের সাথে রাজস্ব সংক্রান্ত কথা বার্তা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে ইটভাটার মালিক মোঃ মিজান রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কিছু টাকা রাজস্ব কর্মকর্তাদেরকে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। এসময় রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ কবির উদ্দিন ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাঈফ উদ্দিন ভূঁইয়ার পকেটে কিছু টাকা ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ভিডিও করতে থাকে। একপর্যায়ে ইটভাটা মালিক মিজান রাজস্ব কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালায় এবং তাদের শারীরিকভাবে আঘাত করে আহত করে।
রাজস্ব কর্মকর্তা নুরুল আলম জানান, ইটভাটা মালিক মিজানসহ ১০/১২ জন দলবদ্ধ হয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্তব্য পালনে বাধা দান করে অবৈধভাবে অবরোধ করে রাখে। এবং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে পকেটে জোরপূর্বক টাকা দেয়ার চেষ্টা করে ভিডিও ধারণ করে অপরাধ করে।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে এবং মামলাটি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।