লামায় কৃষি বিভাগের জায়গা থেকে সরকারি সম্পদ উদ্ধার 

fec-image
লামায় দীর্ঘদিনের বেদখলকৃত কৃষি বিভাগের ৩৩ শতক জায়গা জবরদখল মুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমির নেতৃত্বে সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০টি দোকানের অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে তাদের স্থাপনা উচ্ছেদ করে জায়গা দখল মুক্ত করা হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত ছিদ্দিকা, লামা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা, লামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মামুন ইয়াকুব, রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং পরু মার্মা, লামা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, লামা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল হক।
সূত্র জানায়, রুপসীপাড়া বাজারে কৃষি অফিসের সরকারি জায়গায় দোকান প্লট নির্মাণ করে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছিল প্রায় ৩০ জন ব্যবসায়ী। দখলদারদের আগ্রাসনে ধীরে ধীরে কৃষি বিভাগের সম্পূর্ণ জায়গা জবরদখলকারীদের আওতায় চলে গেলে তারা উক্ত স্থান হতে কৃষি বিভাগকে তাড়িয়ে সম্পূর্ণ জায়গা দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করে। সম্প্রতি উক্ত জায়গায় অনেকে বহুতল ভবন নির্মাণ করে দোকান পরিচালনা শুরু করে। এছাড়া অনেকে কৃষি বিভাগের লোকজনের বাধা উপেক্ষা করে নিজেদের ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে দোকান তৈরি করে জায়গা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি সোমবার বিকেলে এই সরকারি সম্পদ উদ্ধারে মাঠে নামেন। ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার দ্বারা জায়গাটি পুনরায় পরিমাপ পরিচিহ্নিত করা হয়। এ সময় দেখা যায় উক্ত জায়গায় ৩০টির অধিক দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা বাণিজ্য করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। স্থানীয় লোকজন দোকানঘর নির্মাণের স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে বুলডোজার দিয়ে অবৈধ সকল স্থাপনা ধ্বংস করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি বলেন, সরকারি জায়গা কোনভাবেই জবরদখল করতে দেওয়া হবে না। জবরদখলকারী যে হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কৃষি বিভাগ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন