parbattanews

লামায় গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি: নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন

বান্দরবান জেলার লামার গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

জয়নাল হোসেন নামক এক আবেদনকারী দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করে জানান, লিখিত পরীক্ষায় তিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় পরিকল্পিতভাবে তার যোগ্যতাকে বিবেচনা না করে অন্য একজনকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

লিখিত এই আবেদনের অভিযোগে আরো জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ দে নিয়োগ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের প্রভাবিত করেছে।

অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ দে জানান, নিয়োগের সকল বিষয় নিয়োগ কমিটির সভাপতি জানেন।

নিয়োগে কমিটিতে ডিজির প্রতিনিধি ও লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজিজুল হক নিজামী জানান, তার পক্ষে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক জামাল উদ্দিন নামক নিয়োগ পরীক্ষায় ছিলেন।

শিক্ষক জামাল উদ্দীন বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষক হল রুমে এসেছেন। আমি তাদের বের হয়ে যেতে বললে পরে জানালা দিয়ে তারা নিয়োগের জন্য সুপারিশ কৃত প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় বলে দিয়ে সহযোগিতা করেছে। আমার দৃষ্টিতে বিষয়টি একাধিকবার ধরা পড়েছে।

চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সরিৎ কুমার চাকমা সাংবাদিকদের মোবাইলে বলেন, নিয়োগের বিষয়ে সব কিছু নিয়োগ কমিটির সভাপতি জানেন।

নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান মিল্কী রাণী দাশ বলেন, আমি নতুন মানুষ। নিয়োগের সব বিষয় প্রধান শিক্ষক জানেন। তাকে ফোন করেন।

উল্লেখ্য যে, গত ২২ আগস্ট গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী ও পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিরাপত্তা কর্মী পদের লিখিত পরীক্ষায় ২য় স্থান অর্জনকারী সিংহ্লাথোয়াই মার্মাকে নিয়োগ প্রদানের জন্য নিয়োগ কমিটি সুপারিশ করেছে। লিখিত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী জয়নাল হোসেন দুদক সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে এই বিষয়ে অভিযোগ পাঠিয়েছে। আজ ২৪ আগস্ট একই অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।

Exit mobile version