parbattanews

লামায় ত্রিপুরা নারী ধর্ষণের ঘটনায় আসামী নুরুল হুদার দোষ স্বীকার

লামায় প্রেমিকের সহায়তায় ৬ জন মিলে ত্রিপুরা নারী ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি নুরুল হুদা(২৭)।

বান্দরবানের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল্লাহ আল-মামুনের নিকট মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় এই জবানবন্দি দেন। লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান এই প্রতিবেদককে জবানবন্দি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার দিবাগত রাতে স্থানীয় জনগনের সহায়তায় আজিজনগর থেকে নুরুল হুদাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার বিকালে আদালতে তোলা হয় তাকে। জবানবন্দি প্রদানের পর তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট রাত প্রায় ১টার দিকে উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের পূর্বচাম্বী ক্লিপটন গ্রুপের বাগানের পাশে ত্রিপুরা নারী ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে। মেয়েটির বাড়ি বান্দরবানের মিলনছড়ি এলাকায়।

গত ৩১ আগস্ট’ ধর্ষণের শিকার নারী নিজই বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এই নারী বর্তমানে বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পূর্বচাম্বী ডিগ্রিখোলা এলাকার জনৈক দুলা মিয়ার স্ত্রী রাবেয়া বেগম বলেন, মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হওয়ার পরে রাত ৩ টার দিকে হেঁটে ডিগ্রিখোলা এলাকায় আসলে স্থানীয় লোকজনের সাথে দেখা হলে সে তাদের বিষয়টি বলে। পরে স্থানীয় লোকজন রাতের জন্য মেয়েটিকে আমার নিকট হেফাজতে রাখে। সকালে লামা থানা পুলিশ এসে মেয়েটিকে তাদের হেফাজতে নেয়।

গ্রেফতার নুরুল হুদা (২৭) সরই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পুইট্টা পাড়ার মৃত ইসহাক এর ছেলে।

লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, অপর আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

Exit mobile version