লামায় পরিত্যক্ত পুকুর থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার

fec-image

পরিত্যক্ত একটি পুকুর থেকে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে লামা থানা পুলিশ। বান্দরবানের লামায় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বড় নুনারবিল মার্মা পাড়ায় বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টায় ৪০ মিনিটে এই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়দের থেকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও লামা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৩০ মিনিটের অধিক সময় ধরে খোঁজাখুঁজি করে লাশ উদ্ধার করে। কিশোরী প্রিয়ন্তী চাকমা বড় নুনারবিল মার্মা পাড়ার নিক্সন চাকমা ও জ্যোতিকা চাকমার মেয়ে। সে লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। নিহত কিশোরী প্রিয়ন্তী চাকমার বাবা নিক্সন চাকমা লামায় একটি এনজিওতে চাকরী করেন। তারা বড় নুনারবিল মার্মা পাড়ার মংহ্লা প্রু মার্মার ভাড়া বাড়িতে থাকতো। নিক্সন চাকমার নিজ বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা সদরে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সুরতহালে কিশোরীর শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

নিহতের মা জ্যোতিকা চাকমা বলেন, তারা রাতে খেয়ে যার যার রুমে শুয়ে পড়েছে। ভোরে মানুষের শোরগোল শুনে উঠে দেখে ঘরের দরজা খোলা ও মেয়েটির লাশ ঘরের পাশে একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে উদ্ধার করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। মেয়েটি আগেও কয়েকবার রাতে ঘুমের ঘোরে ঘর থেকে বের হয়েছিল।

পার্শ্ববর্তী এক নারী বলেন, রাত ৩টা ৪৫মিনিটে তার ঘরের সাথে লাগোয়া পরিত্যক্ত পুকুরের অপর পাড়ে কি যেন একটা পড়ার শব্দ পায় তিনি। তাড়াতাড়ি মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে বের হয়ে দেখেন কি যেন একটা পানিতে ডুবে যাচ্ছে। তিনি অনেক ডাকাডাকি করলেও আশপাশের কেউ বের হয়নি। পরে একা হওয়ায় ওই নারী ভয়ে পানিতে না নেমে ঘরে চলে যান। সকালে ওই স্থান থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার হয়। নিক্সন চাকমা ও জ্যোতিকা চাকমা নিসন্তান হওয়ায় তারা মেয়েটিকে ছোট থেকে দত্তক নিয়েছেন। পালক মেয়ে হলেও তারা মেয়েটিকে আপনের চেয়েও বেশি যত্ন নিত।

লামা পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর জাহানারা বেগম বলেন, আমার বাড়ির পাশের ঘটনা। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। মেয়েটি অনেক মেধাবী ছিল।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: লামায়, লাশ উদ্ধার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন