parbattanews

লামায় পাহাড় ধসে এক নারীর মৃত্যু : আহত ৬

পাহাড় ধসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে লামা-আলীকদম উপজেলার সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ

পার্বত্য বান্দরবানের লামায় পাহাড় ধসে মাটি চাপায় নুরহাজান বেগম (৬০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ছয়জন। তাদেরকে উদ্ধার করে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।

রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে লামা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় লামা পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। পাহাড় ধসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে লামা-আলীকদম উপজেলার সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ। উপজেলা উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে বন্যা কবলিতদের উদ্ধারের কয়েকটি টিম কাজ করছে।

লামা পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড়ি ঢলে লামা বাজারসহ পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা ডুবে গেছে। ফলে পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন পৌরসভার অন্তত ৪০ হাজার মানুষ। তিনি আরও বলেন, পাহাড় ধসে পৌরসভায় অন্তত একশত ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে।

লামা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাপান বড়ুয়া বলেন, রাতের দিকে বন্যায় প্লাবিত হওয়ার কারণে বাজারের ব্যবসায়িরা দোকানের কোনো মালামাল সরাতে পারেনি। সব পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েগেছে।

লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল জানান, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী, আজিজনগর, ফাইতং, রূপসীপাড়া এলাকায় পাহাড়ি ঢলে বন্যা দেখা দিয়েছেন। সেখানে পানি বন্দি হাজার হাজার মানুষ। লামা চকোরিয়া সড়কের মিরিঞ্জায় পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এরআগে রবিবার ভোরে লামা সদর ইউনিয়নে পশ্চিম মধু ঝিরিতে পাহাড় ধসে নূরহাজান বেগম (৬০) নামের এক বিধবা নারী মারা গেছেন।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি জানান, পাহাড় ধস ও বন্যায় প্রায় ১০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক ১৫ মে: টন চাল ও নগদ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। পাহাড় ধসে নিহতের স্বজনদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং আহতদের ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া রোববার বিকেল থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে।

Exit mobile version