লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত শতাধিক ব্যক্তির মানবিক সহায়তার নগদ টাকা আত্মসাতের বিষয়ে অভিযোগ দেওয়ার পরও প্রশাসনিকভাবে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
এই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার বেলাল হোসেন শতাধিক অসহায় মানুষের মোবাইল থেকে নিজের মোবাইলে মানবিক সহায়তার আড়াই হাজার টাকা করে ট্রান্সফার করে আত্মসাত করেছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র নিকট এমন অভিযোগ এনেছেন ১১ জন অসহায় মানুষ। অভিযোগকারী সুমন জানান, চৌকিদার বেলাল হোসেন মোবাইলে টাকা এসেছে কি-না তাহা যাচাই করার কথা বলে মোবাইল নিয়ে টাকা নিয়ে গেছে। আরেক অভিযোগকারী মমতাজ বেগম বলেন টাকা এসেছে কি-না তাহা যাচাইয়ের কথা বললে বেলালকে সরল বিশ্বাসের উপর আমার মোবাইল দেই। কিন্তু সে আমার অগোচরে ২৫০০ টাকা তার নিজের মোবাইলে নিয়ে যায়। সরেজমিন পরিদর্শনে শতাধিক ভুক্তভোগী মানুষ একই অভিযোগ তুলেছেন।
কয়েকজন ভুক্তভোগী আক্ষেপ করে বলেন, মানবিক সহায়তার টাকা আত্মসাত এর বিষয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর দপ্তরে সশরীরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দিয়ে ও কোন লাভ হয়নি। এমন অভিযোগ পাওয়ার পরও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা প্রশাসনের কোন লোক সরজমিন এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে আসে নি।
চৌকিদার বেলাল হোসেন জানান, মানুষের টাকা ক্যাশ আউট করে দেওয়ার জন্য সে এই ভাবে তার নিজের মোবাইলে টাকার মেসেজ ট্রান্সফার করেছে। সে আরো বলে তার ভাষায় ‘ আমি টাকা বাহির করে আমার কাছে রেখেছি। আমি পালাইয়া যাই নাই। মানুষকে বলেছি তোদের টাকা লাগলে আমাকে বলিস।সোলার বিতরণ করার সময় আমি এলাকায় গেলে মোবাইলে টাকার মেসেজটি ট্রান্সফার করেছি।’
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার আবদুল মান্নান জানান, সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে চৌকিদার অসংখ্য মানুষের মানবিক সহায়তার টাকা আত্মসাত করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু জানান অভিযোগ দেওয়ার ২৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনো কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছে।
লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগকারীদের টাকা ফেরত দিয়েছে। আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে হলে কাউকে বাদী হয়ে এজাহার দিতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজা রশিদ জানান, মানুষের লিখিত অভিযোগ আইনগত ব্যবস্থার জন্য থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।