parbattanews

লামায় ষাড়ের অণ্ডকোষ, পায়ের রগ ও লেজ কেটে হত্যার চেষ্টা

পার্বত্য বান্দরবানের লামায় একটি ষাড়ের (গরুর) অণ্ডকোষ, চার পায়ের রগ ও লেজ কেটে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। ৫ মার্চ (বুধবার) দুপুরের দিকে লামার মিরিঞ্জা নয়া পাড়া এলাকায় একদল উপজাতি দুর্বৃত্ত এই হত্যা প্রচেষ্টা চালায় এমনটাই জানালেন ওই ষাড়ের মালিক এবং স্থানীয়রা। এই ঘটনায় ষাড়ের মালিক ফাঁসিয়াখালি ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওসি বলেন, ষাড়ের মালিক রাতে একটি মামলা করেছেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চলছে।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বুধবার (৫ মে) সকাল নয়টার দিকে ওই এলাকার পাহাড়ে ঘাস খেতে দিয়ে আসেন ষাড়ের মালিক। এদিন দুপুরের পর পার্শ্ববর্তী মিরিঞ্জা বড় পুইত্তা ত্রিপুরা পাড়ার বিজল ত্রিপুরা ও অথিরাম ত্রিপুরাসহ ৬ উপজাতি যুবক ষাড়টির অণ্ডকোষ, চার পা, লেজ কেটে হত্যা চেষ্টা চালায়। সেসময় সেখানে অন্য লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ষাড়ের মালিক রফিকুল ইসলাম গিয়ে ষাড়টি উদ্ধার করেন। তবে ষাড়টিকে বাঁচানো আর সম্ভব হয়নি।

মিরিঞ্জা নয়া পাড়ার বাসিন্দা শহীদ মিয়া জানান, গত ২ বছরে এই এলাকা থেকে ১৬ থেকে ২০টি গরু উধাও হয়ে গেছে। পাহাড়ে ঘাস খেতে বেঁধে দিয়ে আসার পর বিকালে গিয়ে ওই গরুগুলো আর পাওয়া যায়নি।

একই কথা বলেন ওই এলাকার মো. বজল মিয়া। প্রায় সময় একনলা ও দু-নলা বন্দুক নিয়ে পার্শ্ববর্তি উপজাতি পাড়ার যুবকদের ঘুরতে দেখা যায়। ভয়ে তাদের সাথে কেউ কথা বলে না। এরা হরিণ, শুকর, বন মোরগ, মথুরা, গুইসাপ, শেয়াল, বানর-হনুমানসহ নানারকম প্রাণী শিকার করে নিয়ে যায়। বিষয়টি বন বিভাগ ও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জেনেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

Exit mobile version