parbattanews

লামায় স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে টানা চারদিন ধর্ষণ

ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

লামার উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে টানা চারদিন ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের পাগলীর আগা এলাকায় গত ১২ নভেম্বর শনিবার এই ঘটনা ঘটে। লামা থানায় এ বিষয়ে স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ নভেম্বর শনিবার সকালে ফাঁসিয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নাছির মাস্টারের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান নয়ন (২০) ছুরির ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে পার্শবর্তী পাহাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে জোর করে তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন অবস্থায় পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে।

রাতে মেয়েটির জ্ঞান ফিরে আসলে ধর্ষক নয়ন মেয়েটিকে জোর করে বগাইছড়িস্থ তার বাড়িতে নিয়ে টানা  চারদিন উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। মঙ্গলবার রাত ৯টায় পাগলীর আগা এলাকার ডালডা বাগানে মেয়েটিকে ফেলে রেখে যায়।

বাগানের ম্যানাজার মোতাহের হোসেন মেয়েটিকে দেখতে পেয়ে তার বাবা মা কে খবর দেন। বাবা-মা আসতে বিলম্ব হওয়ায় বুধবার সকালে বাগান ম্যানাজার স্থানীয় ভিডিপি জাফর আলমের মাধ্যমে ছাত্রীকে তার মা-বাবার কাছে পৌঁছে দেন।

এজাহারে আরো জানা যায়, মেয়েটি অপহরণের সময় স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ হোসেন মামুন প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। মেয়েটি বাচাঁনোর জন্য মেম্বারের নিকট আকুতি জানালে মেম্বার উত্তরে জানান, ‘তুমি সাথে যাও আমি পরে বিয়ে পড়িয়ে দেব’।

এ ঘটনায় নির্যাতিত স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে লামা থানায় আব্দুল্লাহ আল নোমান নয়নসহ ৪ জনকে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জায়েদ নূর জানিয়েছেন, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Exit mobile version