parbattanews

লামায় হাতির আক্রমণ থেকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রক্ষায় ইআরটি গঠন

এশিয়ান হাতি বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ আকৃতির স্থলচর স্তন্যপায়ী প্রাণী। হাতি হলাে ফ্ল্যাগশিপ প্রজাতি এবং এদেরকে ফরেস্ট ইঞ্জিনিয়ারও বলা হয়। IUCN Red list of Bangladesh-২০১৫ অনুযায়ী, এশিয়ান হাতি মহাবিপন্ন প্রজাতির তালিকাভুক্ত।

বর্তমানে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় এদের বিস্তৃতি রয়েছে। কিন্তু রােহিঙ্গা শরণার্থীদের কারণে টেকনাফ ও কক্সবাজারের আবাসিক ও অনাবাসিক হাতির আবাসস্থল ধ্বংস, করিডাের বিনষ্ট ও খাদ্যের অভাবসহ নানা প্রতিকূলতার কারণে এশিয়ান হাতি লােকালয়ে চলে আসছে। ফলে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে।

হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসন, মহাবিপন্ন এই হাতি সংরক্ষণ ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রক্ষায় লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুমারী এলাকায় ১০ জন সদস্য বিশিষ্ট ইআরটি গ্রুপ গঠন করা হয়। এই বিষয়ে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মো. ইসমাইল হোসেন, ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জার, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, চট্টগ্রাম। মো. নুরে আলম হাফিজ, সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা, লামা বন বিভাগ। দীপান্বিতা ভট্টাচার্য্য, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম। মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, চকরিয়া। হুমায়ন কবির, আইসি, কুমারী পুলিশ ক্যাম্প, লামা প্রমুখ।

Exit mobile version