parbattanews

লামায় হাম রোগে আক্রান্ত ১৬ শিশুসহ ৩১ জন :মৃত এক

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার লামা সদর ইউনিয়নের পোপা মৌজার পুরাতন লাইল্যা ম্রো পাড়ায় হাম রোগে আক্রান্ত ১৬ জন শিশুসহকারে ৩১ জন ম্রোকে উদ্ধার করে লামা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার(১৬ মার্চ) সকালে সেনাবাহিনীর একটি টিম, লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন ও লামা সদর থেকে লোকজন দুর্গম এই পাড়ায় গমন করে হাম রোগে আক্রান্তদের উদ্ধার করে বিকালে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছান।

লামা সদর থেকে ২৫ কি.মি. দুর্গমে এই ম্রো পাড়াটি অবস্থিত। হাসপাতালে এই রোগীদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন জানান, প্রথমে কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুল কাদেরের মাধ্যমে লাইল্যা ম্রো পাড়ার ৮ পরিবারের ৪৫ জন নারী ও শিশু অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হবার খবর পান।

পাড়ার লাতুং ম্রো কারবারি জানান, গত ১ মাস যাবৎ পাড়ার নারী এবং শিশুদের গায়ে গুটি উঠেছে। সাথে প্রচণ্ড জ্বর ও কাশি। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে দুতিয়া ম্রো (৮) নামক এক শিশু মারা গেছে।

আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার রোগীরা হলো- তাতাই ম্রো (১৩), মাচিং ম্রো (১১), তোম পাউ ম্রো (১), ছিদ্দিক ম্রো (২), রুইরাউ ম্রো (২), কাইকোম ম্রো (৫),মিংপুং ম্রো (৮),কাইতং ম্রো (৬), সংসোং ম্রো (৩), মিলং ম্রো (২)সহ আরো অনেকে।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি জানান, এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় আক্রান্তদের উদ্ধার করে আনতে সময় লেগেছে। দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে উপজেলা সদরে আক্রান্তদের খবর আসতে বিলম্ব হয়েছে।

লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল জানান, আক্রান্তদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই রোগ যাতে পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছড়িয়ে না পড়ে এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদুল হক জানান, রবিবার বিকালে আক্রান্ত পাড়ায় মেডিকেল টিম প্রেরণ করা হয়েছে। আক্রান্তদের গায়ে ঘামের মত গুটি উঠেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হাম রোগ।

আক্রান্তদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আইসোলেশন ওয়ার্ডে সোমবার বিকালে আক্রান্তদের ভর্তি করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডাঃ অংশৈ প্রু মার্মা জানিয়েছেন, আক্রান্তদের নমুনা ঢাকায় প্রেরণ করে পরীক্ষা করা হবে। তবে আর যাতে কেউ আক্রান্ত না হয় এজন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে সিজনাল সর্দি কাশি থেকে নিমোনিয়া এমনকি হামও হতে পারে।

Exit mobile version