parbattanews

লামা ও আলীকদমের তামাক চাষীরা প্রায় ৫০কোটি টাকার ক্ষতির সম্মূখীন

লামা উপজেলার বৈদ্যভিটায় বিক্রয়ের জন্য চাষীর বাড়িতে বান্ডিল আকারে সাজানো তামাক

বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা ও আলীকদম উপজেলার কমপক্ষে ৫হাজার তামাক চাষি প্রায় ৫০কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির আশংকা করছেন।

প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর চলতি এপ্রিল মাসে কোম্পানিগুলো তামাক ক্রয় শুরু না করায় চরম হতাশায় ভূগছেন তামাক চাষীরা।

কবে নাগাদ তামাক ক্রয় শুরু করা হবে তার নিশ্চয়তা দিতে পারছেনা কোম্পানিগুলোর স্থানীয় দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। করোনাভাইরাসের কারনে তামাক ক্রয় শুরু করা সম্বভ হচ্ছে না বলে জানান বিএটিবির লামা লিফ ম্যানেজার আশরাফুল হক।

জানা গেছে, বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবছরে ও লামা এবং আলীকদম উপজেলায় কয়েকটি তামাক কোম্পানি তামাক চাষে নিবন্ধন দেয়। কোম্পানিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ বিএটিবি, জিটিআই      (পুরাতন ঢাকা টোব্যাকো), আবুল খায়ের, আকিজ টোব্যাকো।

এছাড়া স্থানীয় ছোট আরো কয়েকটি কোম্পানি রয়েছে।
বৈদ্যভিটার তামাক চাষী আবু তাহের, ছালেহ আহমদ এবং লাঝনঝিরির মো. জহির উদ্দিন জানান তামাক কোম্পানি হতে নিবন্ধন নিয়ে তারা তামাক চাষ করেছেন।

কোম্পানির ঋণের পাশাপাশি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে তামাক চাষ করতে হয়েছে। বর্তমানে তামাক বান্ডিল আকারে সাইজ করে বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। অথচ নিয়ম মোতাবেক সময়ে তামাক ক্রয় শুরু করা হয়নি। কবে নাগাদ শুরু হবে তার নিশ্চয়তাও নাই।

পাওনাদারগণ টাকা ফেরত চাচ্ছে। তা ছাড়া তামাক বাড়িতে রাখলে গুনগতমান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই চিত্র লামা ও আলীকদম উপজেলার প্রায় ৫ হাজার তামাকচাষীর।

আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান,তামাক চাষীরা হতাশায় ভেঙে পড়েছে।এই চাষের সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত কয়েক লক্ষ মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল জানান, কোম্পানিগুলোকে করোনার বিষয়ে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে তামাক ক্রয় করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

তামাক ক্রয়ে বিলম্ব হলে চাষীরা চরমভাবে ক্ষতির সম্মূখিন হবে।যা এ অঞ্চলের জনজীবনে বিরুপ প্রভাব পড়বে।

Exit mobile version