parbattanews

লামা পৌর শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার, পাঠদান ব্যাহত

লামা প্রতিনিধি:

লামা পৌর শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায়। বন্ধ হয়ে পড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম। ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারে না। বিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত সড়কগুলোও পানির নিচে তলিয়ে যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রেণিকক্ষ পানিতে নিমজ্জিত হয়। পানিতে নিমজ্জিত ও বন্যা কবলিত লোকজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রেণিকক্ষগুলোতে আশ্রয় গ্রহণ করায় পাঠদানের পরিবেশ থাকে না। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ছাত্র-ছাত্রীরা সিলেবাস অনুযায়ী শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করতে পারে না।

নুনারবিল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদ সরওয়ার জানিয়েছেন, ২-৩ ঘন্টার বৃষ্টিতে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। একটু ভারি বৃষ্টি হলে বিদ্যালয়ের নিচ তলার শ্রেণি কক্ষগুলো নিমজ্জিত হয়ে যায়।

লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এএম ইমতিয়াজ জানিয়েছেন, বর্ষার বেশিরভাগ সময় পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের জনসাধারণ বালিকা বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে। তাছাড়া সড়কগুলো পানিতে ডুবে থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারে না। একটু বেশি বৃষ্টি হলে বিদ্যালয়ের নিচ তলার শ্রেণিকক্ষগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায়।

চেয়ারম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম জানিয়েছেন, বৃষ্টি আসলেই পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইয়াহিয়া বাবুল জানিয়েছেন, বর্ষা মৌসুমে বেশির ভাগ সময় লামা হাইস্কুল সড়ক পানির নিচে তলিয়ে থাকে। ২নং ওযার্ডের জনসাধারণ হাইস্কুলের শ্রেণিকক্ষগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে। যার কারণে একদিকে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারে না। অন্যদিকে শ্রেণিকক্ষগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রমের পরিবেশ থাকে না।

লামা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জাফর উল্লাহ জানিয়েছেন, সামান্য বর্ষণে লামা পৌরসভার নিচু এলাকাগুলো তলিয়ে যায়। বন্যা ও জলাবদ্ধতার শিকার পরিবারগুলো মাদ্রাসায় আশ্রয় গ্রহণ করে। মাদ্রাসার নিচ তলা এমনিতেই তলিয়ে যায়। তাছাড়া প্রথম তলার কক্ষগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় পাঠদানের পরিবেশ থাকে না। বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রমের পরিবেশ সৃষ্টি করতে সময় লেগে যায়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার যতীন্দ্র মোহন মণ্ডল ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া বলেছেন, বর্ষায় লামা পৌর এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হয়। লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, পৌর এলাকাসহ লামা উপজেলায় কোন আশ্রয় কেন্দ্র নাই। যার কারণে মানুষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু বলেছেন, লামা পৌর শহরে আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপনের জন্য জায়গা চিহ্নিত করে প্রস্তাব প্রেরণের জন্য জেলা প্রশাসক বলেছেন।

Exit mobile version