parbattanews

টেকনাফে লাশ সামনে রেখে শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা

কক্সবাজারের টেকনাফে গাড়ি চালক মাহমুদুল হকের লাশকে সামনে রেখে শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেছে স্থানীয়রা। তাকে অপহরণ করে বাকি ৫০ হাজার টাকার জন্য খুন করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বেলা ৫টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শীলখালী বাইনরছড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এ-ই প্রতিবাদ সভা করা হয়।

এতে বক্তারা বলেন, কতিপয় স্থানীয়দের ইন্ধনে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাকে ফেরার পথে পাহাড়ি জনপদ হোয়াইক্যং শামলাপুর সড়কের কুদুংগুহা এলাকা থেকে অপহরণ করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে বাকি ৫০ হাজার টাকার জন্য তাকে খুন করে। ১ মাস ১২ দিন পরে পাহাড়ে তার গলিত মৃতদেহ পাওয়া যায়।

তারা আরও বলেন, তার সাথে তেমন কোনো লেনদেন ছিলোনা। কিছুদিন আগে শামলা পুর বাজারের সিএনজি (অটোরিক্সা) লাইনম্যানের বিষয় নিয়ে নাজেহাল হয়েছিল। এই ঘটনার প্রতিপক্ষরাও জড়িত রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখার দাবি জানান।

এতে বক্তব্য রাখেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মৌ. রফিক উদ্দিন, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দিন, সাবেক ইউপি সদস্য শামসুদ্দিন, শিক্ষক এবাদুল হোক মামুন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক, ইউনিয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন খোকন, মনির আহমদ, মরহুমের ভাই ওয়াজ করিম মাদু সহ অন্যরা।

স্ত্রী পারভীন আক্তার বলেন, গত ডিসেম্বরে লাইন হওয়ার নিজের সিএনজি বিক্রি করে আড়ায় লাখ টাকা খরচ করে। প্রতিপক্ষের কারণে ব্যর্থ হয়ে ভাড়া গাড়ি চালাতেন। ৭ মাস পরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দ্বারা অপহৃত হয়ে খুন হতে হয়।

নিহতের মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রিয়া মনির পিতা হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার কামনা করেন।
বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীর ভারপ্রাপ্ত নুর মোহাম্মদ জানান, এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সাথে নাছির নামের এক রোহিঙ্গাকে তিনদিনের পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ৩০ জুন হ্নীলা হয়ে ফেরার পথে তাকে অপহরণ করে ১ লাখ টাকা দাবী করে। ৫৫ হাজার টাকা দিতে পারলেও বাকি ৪৫ হাজার টাকার জন্য্য খুন করেন। ১ মাস ১৩ দিন পরে পাহাড়ে তার গলিত লাশের সন্ধান মিলে। ময়না তদন্ত শেষে ১৩ আগস্ট স্থানীয় কবর স্থানে দাফন করা হয়।

Exit mobile version