লুটকৃত মহিষ অর্ধলক্ষাধিক টাকায় ছাড়ল ডাকাতদল!


ঈদগড় ইউপির ৯ নং ওয়ার্ড বেংডেবা মুখ এলাকা থেকে গত ২৪ মার্চ বিকালে লুটকৃত মহিষটি ডাকাতদল অর্ধ লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে ।
গত মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দিনভর দরকষাকষির পর রাতে ডাকাত দলের দেয়া তথ্য মতে গহীন জঙ্গল থেকে মহিষটি নিয়ে ঘরে পৌছতে বুধবা রাত তিনটা বাজে।মহিষটি ফিরে পেতে মালিককে সহযোগীতা করেন ঈদগাঁও ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান মিনার। তবে এর পুর্বে ডাকাতদলের দাবিকৃত অর্ধলক্ষাধিক টাকা তাদের লোকদের বুঝিয়ে দিতে হয় বলে জানান ভুক্তভোগী আজিজ মিয়া।
উল্লেখ্য, রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের কাঠালিয়া পাড়ার বাসিন্দা আজিজ মিয়া জানান, শবে ক্বদরের দিন জবাই করার জন্য গত সোমবার উক্ত উপজেলার গর্জনিয়া বাজার থেকে তিন লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা দিয়ে বিশালাকৃতির মহিষটি ক্রয় করে পিকআপ যোগে বাড়িতে ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে সড়কের উক্ত স্থানে পৌঁছলে দুই মটর সাইকেল আরোহীর নেতৃত্বে সশস্ত্র মুখোশধারী ডাকাত দল ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে তাদের মারধর পূর্বক মহিষটি লুট করে। এ সংবাদ পেয়ে রামু থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং গহীন জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে মহিষটি উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
লুটের শিকার মহিষ মালিক পরে জানতে পারেন, ঈদগড় করলিয়ামোরা এলাকার কামাল হোসেন প্রকাশ ডাকাত কামালের নেতৃত্বেই এ লুটের ঘটনা ঘটে।
মহিষ উদ্ধারে সহযোগিতাকারী ঈদগাঁও ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান মিনারের মোবাইল ও হোয়াটসঅ্যাপে বারবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি মহিষটি উদ্ধারের বিষয়ে জেনেছেন এবং ডাকাতদলকে চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ করছে জানান।
এদিকে ডাকাতি ও অপহরণ প্রবণ এলাকা হিসেবে খ্যাত এলাকার সচেতন লোকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান , এলাকার পৃথক তিনটি ডাকাত দল ঈদগাঁও-ঈদগড় -বাইশারী সড়কে অব্যাহত ডাকাতি ও অপহরণে জড়িত।
এমনকি গরু বাজার ইজারাদারের যোগসাজশে নিয়মিত থানা ও উপজেলা প্রশাসনকে মাসোহারা দিয়ে ঈদগাঁওয়ের কালির ছড়া ও রামুর জোয়ারিয়ানালা দিয়ে নিয়মিত সশস্ত্র পাহারায় অবৈধ বার্মিজ গরুপাচার ও মুক্তিপণ আদায়ের মত অপরাধ অব্যাহত রয়েছে বলে এলাকায় ব্যাপক প্রচার আছে।যার কারণে প্রশাসন এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিবর্তে উল্টো এসবে বাঁধা দানকারীদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা করে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
তাদের দাবি উক্ত কামাল ডাকাতকে আটক করলেই বেরিয়ে আসবে ডাকাত চক্র ও তাদের নেপথ্যে থাকা ভাল মানুষরুপি প্রভাবশালী রাঘব বোয়ালদের। এ বিষয়ে এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগিরা নবাগত পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।