লেফটেন্যান্ট তানজীম হত্যা মামলার আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজীম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টায় এ তথ্য জানিয়েছেন, র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম চৌধুরি।
গ্রেপ্তার মো. সাদেক (৪১) চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ফাঁসিয়াখালী এলাকার মো. খায়রুজ্জামানের ছেলে।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তার সাদেক সেনা কর্মকর্তা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার ব্যাপারে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সে মামলার এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি।
এর ঘটনার দিন গ্রেপ্তার হয়েছিল মামলার প্রধান আসামি মো. বাবুল ওরফে বাবুল ডাকাতসহ ৬ জন।
আবুল কালাম বলেন, সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজীম ছারোয়ার হত্যার ঘটনায় দায়ের মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ, র্যাব ও সেনা সদস্যরা যৌথ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী এলাকায় এজাহারভুক্ত এক আসামি অবস্থান করছে খবর পায় অভিযানিক দলের সদস্যরা। পরে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।
এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহজনক এক ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তার আসামিকে চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
এর আগে গত সোমবার রাত ৩টার দিকে ডুলাহাজরা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া এলাকায় অভিযানের সময় ডাকাতের ছুরিতে মারা যান লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন।
আইএসপিআর জানিয়েছিল, রাতে পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামে ডাকাতির খবর আসে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে চকরিয়া আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা সেখানে পৌঁছান।
অভিযানের সময় ৭-৮ সদস্যের ডাকাত দলটির কয়েকজনকে তাড়া করেন লেফটেন্যান্ট নির্জন। এ সময় ডাকাতরা নির্জনের ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করলে প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযানের সময় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা রেজাউল করিমের বাড়ি ও আশপাশ থেকে ছয় জন ডাকাতকে আটক করে। এছাড়া ২টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, বিভিন্ন ধরনের ১১ রাউন্ড গুলি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, একটি পিকআপ এবং একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণকারী নির্জন পাবনা ক্যাডেট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি মিলিটারি একাডেমি থেকে ৮২তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে কমিশন লাভ করেন।