parbattanews

ল্যাবে রোহিঙ্গা অগ্রাধিকারে নাইক্ষ্যংছড়ির করোনা শনাক্তের রিপোর্ট আটকে পড়েছে

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে কক্সকাজার ল্যাবে করোনা শনাক্তের তালিকা র্দীঘ হওয়ায় নাইক্ষ্যংছড়ির রির্পোট গুলো প্রদানে বিলম্বিত হচ্ছে। রোববার পাঠানো নমুনা বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দিতে পারেনি তারা। অর্থাৎ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৫ দিন পূর্বে পাঠানো নমুনা এখনো কক্সবাজার ল্যাবের স্টকে পড়ে রয়েছে।

ফলে এ সময়ে কয়েকটি উপজেলায় করোনার নমুনা প্রদানকারীরা অপেক্ষার প্রখর গুনছেন দিনকে দিন। কিন্ত ফলাফল প্রতিদিনই শূণ্য। রিপোর্ট প্রদানে তালিকার পেছনে পড়ে রয়েছে বান্দরবানের ৭ উপজেলা। তবে নাইক্ষ্যংছড়ির বিষয়টি স্বীকার করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জাফর মো ছলিম।

তিনি এ পার্বত্যনিউজকে জানান, গত ৬ এপ্রিল নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের দিন থেকে
নিয়মিত নমুনা পাঠানো হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে। বিগত ৬ এপ্রিল থেকে ১৬ মে শনিবার পর্যন্ত মোট ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৬ জনের পজেটিভ পাওয়া যায়। সে সময়ে নমুনা পাঠানো হলে পরের দিন বা এর পরের দিন নমুনার রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছিলো। বিষয়টি রুটিনে পরিনত হয়ে যায়। কিন্ত বিপরীত হয়ে যায় গত ১৭ মে রোববার থেকে ২১ মে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়ের পরিস্থিতি। নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসের নমুনা কক্সবাজার ল্যাবে পাঠানো হলেও এ সবের রিপোর্ট পেতে বেগ পতে হচ্ছে। এখনও একই অবস্থা। ১ দিনের রিপোর্টে ৫ দিনেও পাননি তারা। সে ৫ দিনে ৩৪ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিলো।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা ভাইরাস সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় নমুনাও বেশি সংগ্রহ হচ্ছে বলে ধারনা করছেন তিনি। তবে কক্সবাজার ল্যাব কর্তৃপক্ষ নাইক্ষ্যংছড়ির ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। আজ-কালের মধ্যে হয়তো তারা এ রিপোর্ট পাঠবেন।

অপর দিকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা অনুপম বড়ুয়া বলেন, মূলত রোহিঙ্গা নয়। সমস্যা তালিকায়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারণে নমুনা সংগ্রহ হয় বেশি। এ ছাড়া সদর, পেকুয়া ও চকরিয়া থেকে তুলনামূলক বেশি নমুনা পাঠানো হয়েছে। তালিকায় নাইক্ষ্যংছড়িসহ অন্যান্যদের অবস্থান হয়ত সামান্য পেছনে। এ কারণে রিপোর্ট পেতে দেরী হচ্ছে। তবে আজ-কালের মধ্যে এ জটিলতা কেটে যাবে। বিশেষ করে ঈদের পরে জনবল ও সরঞ্জম বৃদ্ধি হলে আরো সহজ হবে রিপোর্ট পেতে।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে একাধিক নমুনা প্রদানকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে পার্বত্যনিউজকে জানান, নিজেদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ায় তারা হাসপাতালে ছুটে যান। আর নমুনা দিয়ে আসেন। কিন্ত আজ ৫ দিন অতিবাহিত হলেও রিপোর্ট কই? পজেটিভ বা নেগেটিভ যাই হোক রিপোর্ট তো যথা সময়ে পাওয়া উচিত। কেননা আল্লাহ না করুক, কোন বিপদ হলে কী হবে। তখন সবাই তো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করবেন।

Exit mobile version