parbattanews

শক্তিমান চাকমা হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা কালী শংকর গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি:

নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি কালী শংকর চাকমাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিট এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন -৭  (র‌্যাব)।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে তাকে আটক করা হয়।

এ সময় তার ব্যাগ  তল্লাশি চালিয়ে একটি দেশীয় স্যুটার গান এবং ৫রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব সূত্রে জানানো হয়-  জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সার্বিক  আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে র‌্যাব প্রতিদিনের ন্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ইছাপুর এলাকায় গাড়ি তল্লাসী করছিলো। এমন সময় রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রামগামী একটি অটোরিক্সা (সিএনজি) হাটহাজারীর ইছাপুর এলাকায় পৌছলে র‌্যাবের তল্লাসী দেখে সিএনজি থেকে এক পাহাড়ি যুবক দৌড়ে পালাতে  লাগলে র‌্যাবের সদস্যরা তাকে ধরে ফেলে।

আটক ওই পাহাড়ি যুবককে র‌্যাব অফিসে নিয়ে  জিজ্ঞাসা করলে ওই ব্যক্তি নিজেকে কালী শংকর চাকমা পরিচয় প্রদান করে এবং রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার  চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত কালী শংকর ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুফ সমর্থিত যুব ফোরাম রাঙামাটি জেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নানিয়ারচর উপজেলায় ইউপিডিএফ’র হয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিলো।

সম্প্রতি নানিয়ারচর উপজেলায় খাগড়াছড়ি থেকে রাঙামাটিগামী  রাজশাহী থেকে বেড়াতে আসা  হানিফ এন্টার প্রাইজ নামের একটি পর্যটকবাহী গাড়ির গতিরোধ করে  চাঁদা আদায়ের লক্ষ্যে কালি শংকর  এবং তাঁর দলবল গুলি চালায়।

এদিকে গত ১৫ নভেম্বর কে বা কারা রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা থেকে অস্ত্রের মুখে কালীকে তুলে নিয়ে যায় বলে ইউডিপিএফ সূত্রে দাবি করা হয়। আর এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ জেএসএস সংস্কারকে দায়ী করে আসছে কিন্তু জেএসএস সংস্কার এ ঘটনার কথা অস্বীকার করে আসছে ঘটনা ঘটার পর থেকেই।

নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি)  কবির হোসেন জানান- কালী শংকর চাকমা নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা হত্যাকাণ্ডের  আসামি কি না তা  নথিপত্র দেখে জানাতে হবে।

Exit mobile version