parbattanews

শক্তিমান হত্যা মামলার দুই আসামী আশুলিয়ায় গ্রেফতার

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:
ঢাকার আশুলিয়া থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে বুড়িরবাজার এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। তাঁরা দুজনই রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যার ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন কান্তময় চাকমা (৩০) ও রিপন ত্রিপুরা (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ‘বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা’, ‘সেনা রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ’সহ বিভিন্ন লিফলেট উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, নানিয়ারচর থানার মাধ্যমে খবর পেয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে কল্পনা চাকমা অপহরণের ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে চিহ্নিত অপহরণকারী লে. ফেরদৌসসহ অন্যান্যের বিচারের দাবি, পাহাড় সমতলে নারীর সম্ভ্রম, জীবনের নিরাপত্তা, বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা, সেনা রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সব লিফলেটে পাহাড়-সমতলে নারীর সম্ভ্রম, জীবনের নিরাপত্তা, বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা এবং রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। লিফলেট বিতরণের সময় আশুলিয়ায় বসবাসরত পার্বত্য অঞ্চলের নাগরিকেরা তাঁদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন , বিকালে কান্তময় ওরফে রিপন চাকমা ও সুনিল ওরফে রিপন ত্রিপুরা নামের দুই ব্যক্তি হিল উইমেন্স ফেডারশনের ও চট্রগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে উৎস্কানিমূলক লিফলেট বিতরণ করছিল আশুলিয়ায় বসবাসরত পার্বত্যাঞ্চলের নাগরিকদের মধ্যে। এসময় তাদের আটক করা হয় এবং রাঙ্গামাটিতে নানিয়ারচর এলাকার নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ওই দুই জনের নাম জানার পর জানান তারা দুজনই শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার আসামি। পরে আশুলিয়া থানা পুলিশকে খবর দিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

যোগাযোগ করা হলে রাঙামাটির পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রিপন ত্রিপুরা নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। আর কান্তময় চাকমা সন্দেহভাজন আসামি।

তিনি আরও বলেন, এ দুজনকে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাঙামাটি আনা হবে। এরপর তাঁদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

Exit mobile version