parbattanews

শতাধিক করোনা আক্রান্ত রোহিঙ্গা পরিবার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়- দাবী ইউপি মেম্বারের

মিয়ানমার থেকে করোনা আক্রান্ত প্রায় ১০০/১৫০ রোহিঙ্গা পরিবার উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে বলে দাবী করেছেন উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সোলতান আহমেদ। নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ দাবী করেছেন।

শুধু ফেসবুক স্ট্যাটাসই নয়, তিনি এখবর মাইকে প্রচার করে সীমান্ত এলাকাবাসীকে সতর্ক করেছেন বলেও দাবী করেছেন।

এদিকে তার এই ফেসবুক স্ট্যাটাস ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

ওই পরিবারগুলো চিকিৎসা উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে অবস্থান করছে বলে একটি সুত্রে জানা গেছে।

সোলতান মেম্বার বলেন, ‍‍‌‌”করোনায় আক্রান্ত প্রায় ১০০/১৫০ রোহিঙ্গা পরিবার উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসার অপেক্ষা করছে। ওই পরিবার গুলো চিকিৎসা উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে অবস্থান করছে।

সবাই দৃষ্টি রাখুন সেদিকে, যেন কোন ভাবেই এই করোনার রোগী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে। বর্তমানে রহমতেরবিল, আন্জুমান পাড়া, উলুবনিয়া, হোয়াইক্যং, জিরো পয়েন্ট সীমান্তে অবস্থান করতেছে, আশে পাশে স্থানীয় যারা আছেন আসুন তাদের প্রবেশ প্রতিরোধ করি।  আমরা বিজিকি কে সহযোগিতা করি।”

তিনি বলেন, “আমি আমার ওয়ার্ড়ের প্রত্যেকটি জায়গায় মাইকিং করে জানিয়ে দিয়েছি। আপনারাও যার যার জায়গায় থেকে সজাগ থাকুন।অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করি। তিনি আরো বলেন, আমরা আজও কিন্তু ১০০% সত্যতা পাইনি। তারপরও আমরা যারা জিরো পয়েন্টে বসবাস করি তারা একটু সজাগ থাকার জন্য চেষ্টা করি।”

স্থানীয় বিজিবি এই খবর সঠিক নয় বলে জানালেও তারা সতর্ক আছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তিনিও শুনেছেন। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তারা বিজিবির সাথে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

এদিকে সীমান্ত এলাকা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবনিয়া এলাকায়ও মাইকিং করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনর রশিদ সিকদার জানিয়েছেন, তার নেতৃত্বে এলাকার লোকজন পাহারায় রয়েছেন।

তিনি মৎস্যজীবীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, ওপারে নাইচডং এলাকায় ১০/১২ জন মারাত্মক করোনার মতো উপসর্গ নিয়ে এপারে ঢুকার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা সবাই চেয়ারে বসা রয়েছে।

বিষয়টি সত্যি হলে খুবই উদ্বেগজনক বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ নিশ্চিত নয় বলে জানা গেছে।

Exit mobile version