parbattanews

শরণার্থী ক্যাম্প থেকে অপহৃত যুবককে উদ্ধার 

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের বিছামারা থেকে অপহৃত যুবক আবুল কালাম (৩০)কে ৪৮ ঘন্টা পর কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (১জুন) রাতে উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের রাস্তার মাথা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন। তবে এই সময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোন সদস্য ছিলেন না।

অপহৃতের পিতা, ছৈয়দ আলম জানান, রবিবার (৩১মে) ভোররাতে তার ছেলে আবুল কালামকে কাজের কথা বলে ভাড়াটিয়া লোক দ্বারা অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

এই ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে আজিজুল হক নামে এক যুবককে আটক করে স্থানীয় জনতা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের মূল হুতা খাইর মোহাম্মদ নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিক এই অপহরণ করেছে বলে স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়।

অপহৃতের পরিবারের দাবি, আবুল কালামকে অপহরণের পর টাকা দাবি করেছিল ইমাম খাইর নামে ওই রোহিঙ্গা । টাকা না পেলে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।

এ ঘটনার পর রবিবার অপহৃতের পিতা ছৈয়দ আলম বাদী হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে অপহৃত যুবককে জীবিত উদ্ধারে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন নানা পরিকল্পনা আটেন এবং অপহরণকারীর চাহিদার টাকা পরিশোধ করার আশ্বাস দেন।

চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন জানান, অপহরণকারীর শর্ত ছিল টাকার বিনিময়ে সে আবুল কালামকে জীবিত ফেরত দিবে। তার শর্তমেনে উখিয়া উপজেলায় কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে কালামকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, সোমবার রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশকে অবহিত করে উদ্ধার হওয়া আবুল কালামকে নিজ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আবুল কালাম উদ্ধার হওয়ার খবর পেয়ে রাতেই ইউনিয়ন পরিষদে ছুটে আসেন বিছামারা এলাকার উৎসুক বাসীন্দা। এসময় চেয়ারম‌্যানের একক প্রচেষ্টা ও সাহসিক উদ্ধার তৎপরতার প্রশংসা করেন তারা। এসময় এলাকাবাসী আনন্দিত হয়ে চেয়ারম‌্যানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

উল্লেখ্য, অপহরণকারী খাইর মোহাম্মদ ও অপহৃত আবুল কালাম সম্পর্কে দুলাভাই। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে স্ত্রীর ভাইকে অপহরণ করেছিল আপন বোনের স্বামী।

Exit mobile version