কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কস্থ ফজল মার্কেটের সম্মুখের রাজমনি আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরনের অপকর্ম চলছিল। চারপাশে মার্কেট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর মসজিদ সংলগ্ন এ এলাকার দীর্ঘদিন এ অপকর্ম চলায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ধর্মপ্রান মুসল্লী ও স্থানীয় জনগণ। এর ফলে এলাকার পরিবেশ নষ্টের পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ।
এ অবস্থায় স্থানীয়ভাবে তাদেরকে একাধিকবার বারন করা হয়েছে। অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটি সভাপতি ডাক্তার আমিন ও ব্রাদার্স ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির আমিনুল ইসলাম হাসান, শ্রমিক নেতা এমইউ বাহাদুর, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, পক্ষ থেকেও অনেকবার সতর্ক করা হয়েছে কিন্তু হোটেল মালিক মোহাম্মদ আলম কোনভাবেই পাত্তা দিচ্ছিলনা এ বিষয়টিকে। বরং বাড়িয়ে দিয়েছে অপকর্ম।
তাই আসন্ন রমজানের পবিত্রতাকে কেন্দ্র করে এবং এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের সহযোগিতা শনিবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় প্রায় দুই’শতাধিক মানুষ ওই হোটেলে অভিযান চালায়। অভিযানে হোটেল থেকে হাতে-নাতে ৪জন পতিতাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই হোটেলের মালিক মোহাম্মদ আলমকে কক্সবাজার সদর থানায় নেওয়া হয়।
এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কক্সবাজার সদর থানার এএসআই জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এ অভিযান চালায়।
এ অভিযানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে স্থানীয় জনগণ। অভিযান শেষে ওই হোটেলের সম্মুখেই পথসভা হয়। যেখানে তিন শতাধিক মানুষের জমায়েত হয়। পথসভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন এ হোটেলের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়ে এ অভিযান চালানো হয়েছে। আর সকলের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে এ এলাকার ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে কোন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড করা যাবেনা।
এতে বক্তব্য রাখেন, অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটি সভাপতি ডাক্তার আমিন, ব্রাদার্স ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম হাসান, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইবনে হোসাইন ও শ্রমিক নেতা এমইউ বাহাদুরসহ অন্যান্য বক্তারা।