parbattanews

শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও খালেদা জিয়ার শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

dfgsrt

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ।

একুশের প্রথম প্রহরে ভাষাশহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ভাষা শহীদ ও সংগ্রামীদের ত্যাগ স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর একে একে শহীদ বেদীতে ফুল দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনী প্রধান, আইজিপি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও ভাষা সৈনিকরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব শেষ হলে শহীদ মিনার সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়। একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 এদিকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

সোমবার দিনগত রাত দেড়টায় দলের বিভিন্ন পর‌্যায়ের ৬০ নেতাকে নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেন তিনি। এসময় কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন খালেদা জিয়া।

শ্রদ্ধা নিবেদনকালে তার সঙ্গে ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, মোহাম্মদ শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ সাবেক ছাত্রনেতা নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, বিগত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল প্রমুখ।

এর আগে, রাত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে গুলশান কার্যালয় থেকে দলের নেতাদের নিয়ে শহীদ মিনারের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। এরপর গুলশান, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর পরীবাগ, কাকরাইল, হাইকোর্ট, কদম ফোয়ারা ও দোয়েল চত্বর হয়ে রাত সাড়ে ১টা ২৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছান তিনি।

একটি গাড়িতে ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও একান্ত সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে নিয়ে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ঢোকেন খালেদা জিয়া। আরেকটি বড় বাসে যান অন্য নেতারা।

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছোঁয়ার আগেই হাজারো মানুষ ফুল হাতে শহীদ মিনার অভিমুখী লাইনে দাঁড়ান। ভাষা শহীদ দিবস ভাবগাম্ভীর্য ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে সোমবার সন্ধ্যা থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাধারণের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা করা হয়।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিলে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সালাম, রফিক, বরকত, শফিউরসহ নাম না-জানা অনেকে। এরপর বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেয় তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর এক ঘোষণায় ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি পায়। ২১ ফেব্রুয়ারি দেশে সাধারণ ছুটির দিন। ভাষা শহীদদের স্মরণে এদিন জাতীয় পতাকা থাকবে অর্ধনমিত।

 

Exit mobile version