parbattanews

শান্তিচুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবীতে ১৮ জানুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘতম মানববন্ধনের ডাক

 মানববন্ধন

সিনিয়র রিপোর্টার:

পার্বত্য শান্তিচুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ১৮ জানুয়ারি তিন পার্বত্য জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসের সবচাইতে দীর্ঘ মানববন্ধন করবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম-পার্বত্য অঞ্চল শাখা ও সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ভারত সীমান্তঘেঁষা পানছড়ির দুদুকছড়া থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুনধুম পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত একযোগে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে দীর্ঘতম ৪০০ কি.মি. ব্যাপী এই মানববন্ধনের রুট নির্ধারণ করা হয়েছে: ঘুনধুম-নাইক্ষ্যংছড়ি- বাইশারী- গয়ালমারা- লাইমঝিরি(লামা)- গজালিয়া-১৬ মাইল(চিম্বুক) ও বান্দরবান সদর হয়ে রাঙামাটির বাঙ্গালহালিয়া- বরইছড়ি- কাপ্তাই- হয়ে রাঙামাটি সদর এবং খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি-ঘিলাছড়ি ইউপি হয়ে মহালছড়ি ইউপি- মাচ্ছ্যছড়া ইউপি- বিজিতলা- খাগড়াছড়ি সদর- পেরাছড়া- ভাইবোনছড়া-লতিবান- পানছড়ি সদর- পুজগাং- হয়ে দুদুকছড়া পর্যন্ত।

সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা এই কর্মসূচির কথা নিশ্চিত করে পার্বত্যনিউজকে বলেন, শান্তিচুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ ঘোষণা করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করাই মুলত এ কর্মসুচির মুল উদ্দ্যেশ্য।

মানববন্ধনের মাধ্যমে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দাবী কতটা পুরণ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করা বা তা কিভাবে বাস্তবায়ন হবে তা সরকারের ব্যাপার। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের তৃণমুল জনগনের ট্র্যাডিশনাল লিডার হিসেবে দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম-পার্বত্য অঞ্চল শাখা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি‘র সাথে এ কর্মসূচীতে একাত্ম হয়েছি।

পাহাড়ের প্রধান আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত জেএসএস বা ইউপিডিএফ এ কর্মসুচীতে অংশ নেবে কিনা জানতে চাইলে সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা আরো বলেন, শুধুমাত্র ইউপিডিএফ-জেএসএস নয়, এই মানববন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রামের আপামর জনসাধারণ, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক-সাংবাদিকসহ সকলে স্ব স্ব অবস্থান থেকে অংশ নেবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের ১৭ বছরের মাথায় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবীতে এটিই হবে পাহাড়ের সবচেয়ে বড় মানববন্ধন। এমনটাই অভিমত সংশ্লিষ্টদের।

Exit mobile version