শান্তিতে নোবেল পেলেন ইরানের কারাবন্দি মানবাধিকারকর্মী
ইরানের কারাবন্দি মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদী শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন। ‘প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর’ অভিযোগে বর্তমানে তিনি তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে বন্দি। ২০১১ সাল থেকে তাকে কয়েক দফায় বেশ কয়েকটি জেলে থাকতে হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল তিনটার দিকে নোবেল কমিটি তার নাম ঘোষণা করে। খবর বিবিসির।
ইরানে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই এবং মানবাধিকার ও সবার অধিকার নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখায় তিনি এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
অসলোতে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির প্রধান বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসেন বলেন, ‘ইরান সরকার তাকে মোট ১৩ বার গ্রেপ্তার করেছে। পাঁচবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং মোট ৩১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।’
পুরস্কার ঘোষণার সময় নোবেল কমিটি বলেছে, সাহসী সংগ্রামের পথে নার্গিস মোহাম্মদীকে ব্যক্তিগত জীবনে প্রচণ্ড মূল্য দিয়ে হয়েছে।
নার্গিস ইরানের মানবাধিকারকর্মীদের সামনের সারির একজন। তিনি নারী অধিকার রক্ষা ও মৃত্যুদণ্ড বন্ধের জন্য কাজ করেছেন।
২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী শিরিন এবাদি প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার কেন্দ্রের উপপ্রধান তিনি। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচার চালানোসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডারস বলেছে, তাকে প্রায় ১২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
বিবিসির প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকাতেও এ বছর নাম ছিল ইরানি এই মানবাধিকারকর্মীর। তাকে নিয়ে এ পর্যন্ত ১৯ জন নারী নোবেল পুরস্কার পেলেন।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (১০ লাখ ডলার)। ছয়টি বিভাগে ছয় দিন নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা হয় নরওয়ে থেকে। সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো অন্য পুরস্কারগুলো সুইডেন থেকে ঘোষণা করা হয়।