parbattanews

শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় যারা বিঘ্ন ঘটাবে তাদের কোন ছাড় দেয়া হবেনা

লামা প্রতিনিধি:

পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় যারা বিঘ্ন ঘটাবে তাদের কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানিয়েছেন আলীকদম জোনের নবাগত জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. সাইফ শামীম (পিএসসি)।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) লামা-আলীকদম সেনা জোনের নবাগত জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. সাইফ শামীম (পিএসসি) পরিচিতি ও জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মাহাবুবুর রহমান (পিএসসি) এর বিদায় উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

লে. কর্নেল মো. সাইফ বলেন, লামা-আলীকদমে বসবাসরত সকল ধর্ম-বর্ণের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির কোন খবর পেলে যতক্ষণ তাদের শেষ করতে পারবনা ততক্ষণ ব্যারাকে ফিরে আসব না। সন্ত্রাসের মাধ্যমে সকলের শান্তি বিনষ্ট হয়।

নবাগত জোন কমান্ডার আরও বলেন, অবাধে বৃক্ষ উজাড় ও পাহাড়ি ছড়া-ঝিরি থেকে পাথর উত্তোলনের কারণে প্রচুর পাহাড় ধস হচ্ছে। মারা যাচ্ছে অনেক মানুষ এবং ধ্বংস হচ্ছে সম্পদের। স্থানীয় প্রশাসনকে সাথে নিয়ে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারী ও বনখেকোদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়া বিগত দিন থেকে আলীকদম জোনের উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দেখাশোনার পাশাপাশি নতুন নতুন আরও প্রতিষ্ঠান নির্মাণে কাজ করবে সেনাবাহিনী। বিদায়ী ১৮ বেঙ্গল ইউনিটের মত নবাগত ২৩ বীর ইউনিটকে সহায়তা করতে তিনি সকলকে অনুরোধ করেন।

বিদায়ী জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মাহাবুবুর রহমান (পিএসসি) বলেন, লামা ও আলীকদমের মানুষ শান্তি প্রিয়। এখানকার মানুষ দায়িত্ব পালনের সেনা জোনকে সহযোগিতা করায় তিনি সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি, আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার, সরকারি মাতামুহুরী কলেজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন আহমদ, লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, লামা ১৭ আনসার ব্যাটেলিয়ন এর সিও আশ্রাফুল হক, লামা থানা অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা, আলীকদম থানা অফিসার ইনচার্জ রফিক উল্লাহ, ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, জামাল উদ্দিন, মিন্টু কুমার সেন, ছাচিং প্রু মার্মা,  মো. জসিম উদ্দিন, মো. ফরিদ উল আলম প্রমুখ।

এছাড়া সরকারি বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের হেডম্যান-কারবারীসহ স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version