parbattanews

অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে শান্তির পরিবেশকে অশান্ত করে তুলতে চায়: দীপংকর তালুকদার

লংগদু প্রতিনিধি:

পার্বত্য  চট্টগ্রাম বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও একটি সুখী সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। একটি পক্ষ এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে চায়। তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাধারণ জনগণকে অপহরণ, হত্যা, গুম ও খুন করে শান্তির পরিবেশকে অশান্ত করে তুলতে চায়।

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার রাজনগর বিজিবি জোন, গুলশাখালী বর্ডার গার্ড মডেল কলেজ ও ৩নং গুলশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস-২০১৭ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) উপজেলার গুলশাখালী বর্ডার গার্ড মডেল কলেজ মাঠে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রাজনগর বিজিবি জোন কমান্ডারের পক্ষে জোনের আরএমও ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গুলশাখালী বর্ডার গার্ড নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মাসুদ রানার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাঙ্গামাটি মহিলা সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. রুহুল আমীন,  রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য মো. জানে আলম, লংগদু থানার ওসি রঞ্জন কুমার সামন্ত, গুলশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু নাছির প্রমুখ।

দীপংকর তালুকদার আরো বলেন,  তারা অস্ত্র দিয়ে সাধারণ মানুষের ভোট ডাকাতি করেছে। এবার আর তাদেরকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে না। এইবার জনসাধরণকে নিয়েই সেই ডাকাতদের প্রতিহত করা হবে। তার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি অভিচ্ছেদ্য অংশ। এখানে বসবাসকারীরা সকলেই এই দেশের নাগরিক। আমাদের জননেতা দীপংকর তালুকদার পার্বত্যবাসীদের উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে যে সকল কাজ করে যাচ্ছিলেন তা আজ ব্যাহত হচ্ছে। শুধু মাত্র সংসদে প্রতিনিধিত্ব না থাকার কারণে। এক শ্রেণির অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরা পাহাড়ে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে যাচ্ছে। তিনি বলেন যতক্ষণ পর্যন্ত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবেনা ততক্ষণ পর্যন্ত পাহাড়ে শান্তি আসবে না। তাই, উন্নয়নের স্বার্থে সকলে মিলে অবৈধ অস্ত্রধারীদের দৌঁড়ানি দিতে হবে।

পরে প্রধান অতিথি, কলেজের ছাত্র ছাত্রী ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন এবং সংবর্ধনা প্রদান করেন। সব শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

Exit mobile version