parbattanews

শাপলাপুরে পাচার কালে বন বিভাগের অভিযানে জব্দ গাছ

22

মহেশখালী প্রতিনিধি:

মহেশখালীর শাপলাপুরের আব্দুস সালাম মেম্বারের নেতৃত্বে সরকারী সংরক্ষিত বনের গাছ পাচারকালে বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে তার আস্তানা থেকে ৮০ ফুট গর্জন গাছ জব্দ করেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও মহেশখালী উপজেলা বন কর্মকর্তার সূত্রে জানা যায়, শাপলাপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের জেএম ঘাট নয়াপাড়া এলাকার স্থানীয় মেম্বার আব্দুস ছালাম এর নিয়ন্ত্রিত এক দল বনদস্যু সোমবার  ভোর রাতে জেএম ঘাট  খালে সরকারী গাছ কেটে পাচার করছিল। এ সময় সংবাদ পেয়ে মহেশখালী বন কর্মকার্তার নির্দেশে শাপলাপুর বন বিট ও দিনেশপুর বন বিটের সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বন কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে সঙ্গবদ্ধ গাছ পাচারকারীরা কিছু গর্জন গাছের টুকরা ফেলে রেখে গাছের বড় অংশগুলি জেএম ঘাট খালের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বাসা বাড়ী ও পুকুরের ডোবায় লুকিয়ে রাখে বলে তথ্য পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর ১ টার দিকে শাপলাপুর জেএম ঘাটের নয়াপাড়া এলাকায় উপজেলা বন কর্মকর্তা আবুল হাশেম ভূইয়্যাঁর নেতৃত্বে ২য় দফায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় স্থানীয় বর্তমান মেম্বার আব্দুস ছালাম এর আস্তানা নয়াপাড়ার একটি বসতবাড়ী সংলগ্ন ঝোপের পাশে ৩০ হাত লম্বা ৫টি প্রায় ৮০ ফুট গর্জন গাছ জব্দ করে বন বিভাগ। অভিযান পরিচালনার সংবাদ পেয়ে আব্দুস ছালাম মেম্বার ও তার সহযোগিরা গা ঢাকা দিলেও পরবর্তীতে সালাম মেম্বার নিজে ওই গাছ ছাড়িয়ে নিতে তৎবির শুরু করে।

জানা যায়, সকালে বন কর্মীদের অভিযানের সময় জব্দকৃত গাছগুলি জেএম ঘাট সংলগ্ন নদীতে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় তার দলের সদস্যদের।তার কথা মত বনদস্যু সদস্যরা গাছগুলি ফেলে না দেওয়ায় অবশেষে বন বিভাগের অভিযানে জব্দ করা হয়।

আব্দুস সালাম বর্তমান শাপলাপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার। বন বিভাগের অভিযানে জব্দকৃত গর্জন গাছ গুলি শাপলাপুর বন বিটে নিয়ে আসা হয়। জেএম ঘাটের পূর্ব দিকে খালের সাথে সংযুক্ত মোহাম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তির অবৈধ স-মিলে চেরাই করে দিন রাত সরকারী সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে পাশ্ববর্তী উপজেলা চকরিয়ার বদরখালী, মগনামাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাচারকরে আসছে সঙ্গবদ্ধ বন দস্যুরা। অনেক সময় বন বিভাগের অভিযান টের পেয়ে বন কর্মীদের উপর গুলাগুলি করে থাকে এবং নৌকা বোঝাই করার সময় বড় বড় বৃক্ষ খালে ফেলে দেয় বলেও নানা সুত্রে অভিযোগ রয়েছে।

এব্যাপারে মহেশখালী উপজেলা বন কর্মকর্তা আবুল হাশেম ভূইয়্যা জানান উদ্ধারকৃত গাছ পাচারের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত বন আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

Exit mobile version