parbattanews

শাহ আলীর ৩ মামলায় ছয় দিনের রিমান্ড

রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনীর ভাই শাহ আলী (৫৫) এর ৩ মামলায় ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গার আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

কক্সবাজার আদালত পুলিশের পরিদর্শক চন্দন কুমার দাশ জানান, পুলিশের পক্ষে থেকে তিনটি মামলায় আরসা প্রধানের ভাই শাহ আলীর সাত দিন করে মোট ২১ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। পরে আদাল প্রতিটি মামলায় ২ দিন করে মোট ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

শাহ আলী মিয়ানমারের নিষিদ্ধ ঘোষিত সশস্ত্র সংগঠন ‘আরসা’ প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনীর ভাই। তিনি চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালি থানার দেওয়ান বাজার এলাকার জয়নব কলোনির ঠিকানায় ‘বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র’ সংগ্রহ করেছেন, যা পুলিশ মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছে।

গত ১৬ জানুয়ারি ভোর রাতে উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ-সংলগ্ন এলাকা থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ শাহ আলীকে গ্রেপ্তার করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
এ সময় ক্যাম্প-৬, ব্লক- সি-১০ এর তার নিজ বাসা থেকে ১টি একনলা বন্দুক এবং ১ হাজার ইয়াবা, ১ লক্ষ ১০ হাজার নগদ টাকা ও ১টি বড় চাকু উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় অপহৃত এক যুবককে উদ্ধার করে এপিবিএন সদস্যরা। মাদক, অস্ত্র ও অপহরণের ধারায় ১৬ জানুয়ারি উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। দুইটির বাদি পুলিশ, একটি করেছেন অপহৃত যুবক। মামলা নম্বর সমূহ ৬৬, ৬৭ ও ৬৮।

মামলায় শাহ আলী ও মোহাম্মদ জোবাইরসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। মামলা তিনটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব পান উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরে আলম।

১৪ এপিবিএন অধিনায়ক মো. নাইমুল হক জানান, গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে, ওই এলাকায় কিছু দুষ্কৃতকারী অবস্থান নিয়েছে এবং তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বড় ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে। পরে ড্রোন দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে তার অবস্থান শনাক্ত করার পর শাহ আলীকে আটক করা হয়। এ সময় সাদিকুল নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, তাকে সেখানে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় এবং টাকা দাবি করা হয়।

Exit mobile version