parbattanews

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রতিভা অন্বেষণে কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমি

“শিশু-কিশোরদের সুকুমার বৃত্তির বিকাশে এগিয়ে যাই, মেধা ও মননে সাহিত্যের বিকল্প নাই” এই স্লোগানকে ধারণ করে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল সাহিত্যচর্চায় উদ্বুদ্ধকরণ ও শিশুদের প্রতিভা অন্বেষণের জন্য কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমির ব্যতিক্রমধর্মী সাহিত্য প্রতিযোগিতা আবার শুরু হয়েছে। ২০১৬ সালের এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার পরে এটি শিশু-কিশোরদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। কর্মসূচি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিগত কয়েকবছর আগে তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সোমবার (১৬ মে) থেকে তা আবার শুরু হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার ও কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমির সহ সভাপতি ছড়াকার মো. নাসির উদ্দিন।
একাডেমি সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তবে মো. নাছির উদ্দিন বলেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক। তাই আজকের শিশুদেরকে আদর্শ ও মানবিক মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে হবে। আর সে কারণেই শিশুদেরকে পড়ালেখার পাশাপাশি শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সাথে একাত্ম হয়ে বেড়ে উঠতে হবে। এগুলোর বিকাশ ছাড়া একজন শিশু আদর্শবান মানুষ হবে পারে না। তাই সকল শিশুদের অভিভাবদের উচিত তাদের শিশুদেরকে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় মনযোগ দেওয়া।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্য পেশ করেন মনযোগর সহ সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক, প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির আহবায়ক গল্পকার সোহেল ইকবাল।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, একাডেমির স্থায়ী পরিষদ সদস্য কবি অধ্যাপক দিলওয়ার চৌধুরী, পৌর প্রিপ্যারটরি হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষক পরেশ দে ও পৌর প্রিপ্যারটরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিসেস কামরুননেছা বুলবুল।

প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির মধ্যে ছিলো স্বরচিত ছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প লিখন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। এবারের প্রতিযোগিতা প্রাথমিক স্তরের ৩য় শ্রেণি থেকে শুরু মাধ্যমিক স্তরের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অন্তর্ভুক্ত ছিলো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ‘ক’ গ্রুপ, ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ‘খ’ গ্রুপ ও ৯ম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ‘গ’ গ্রুপে বিভক্ত করে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ‘ক’ গ্রুপে জহির ইসলামের ‘আঁকতেপারি’ ‘খ’ গ্রুপে ছড়াকার রুহুল কাদের বাবুলের ভাষার ‘পদাবলী’ ও ‘গ’ গ্রুপে জাতিসত্ত্বার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ‘যতদূর বাংলাভাষা ততদূর বাংলাদেশ’ কবিতা আবৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, এবারের আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় কক্সবাজার জেলার কবি ও ছড়াকারের লেখাকে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।

কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষে একাডেমির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক গল্পকার সোহেল ইকবালকে আহবায়ক করে প্রতিযোগিতা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন যথাক্রমে একাডেমির সাধারণ সম্পাদক কবি রুহুল কাদের বাবুল, অর্থ সম্পাদক কবি মোহাম্মদ আমিরুদ্দীন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক কবি শামীম আকতার ও কল্লোল দে চৌধুরী।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন যথাক্রমে একাডেমির স্থায়ী পরিষদ সদস্য কবি অধ্যাপক দিলওয়ার চৌধুরী, পৌর প্রিপ্যারটরি হাইস্কুলের সিনিয়র শিক্ষক পরেশ দে, পৌর প্রিপ্যারটরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিসেস কামরুননেছা বুলবুল, পৌর প্রিপ্যারটরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিসেস সুরাইয়া আমিন, একাডেমির সদস্য কবি খাইরুল ইসলাম আদিব।

টেবুলেশনের দায়িত্বে ছিলেন পৌর প্রিপ্যারটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবৃত্তিকার পরেশ দে ও একাডেমির নির্বাহী সদস্য আবৃত্তিকার কল্লোল দে চৌধুরী।
প্রতিযোগিতায় পৌরপ্রিপ্যারাটরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্যেরপ্রিপ্যারাটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ কের। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদেরকে পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়।

আগামী ২৬ মে, ২০২২ ঈদগাঁও উপজেলার প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

Exit mobile version