parbattanews

শিক্ষার্থীদের প্রতি মনোযোগী হতে হবে : দীপংকর তালুকদার

শিক্ষার্থীকে বৃত্তির সনদ ও অর্থ তুলে দিচ্ছেন দীপংকরতালুকদার

সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, অভিভাবক ও শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের প্রতি আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে লেখাপড়ার মাধ্যমে বেশি বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারে।  ,শিক্ষার্থীরা শুধু বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করলে হবে না, নিজেকে সুশিক্ষিত করতে পারাটাই হবে তাদের মূল লক্ষ্য।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তির অর্থ, ক্রেষ্ট ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আর্থিকভাবে সহায়তা করার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তার জন্য পরিষদকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এ সময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে শিক্ষা বিভাগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, পরিষদ সদস্য সান্তনা চাকমা, পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা। অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান’সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।

সভাপতির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ হস্তান্তরিত বিভাগ নিয়ে জেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ পার্বত্য জেলা পরিষদ গুলোতে হস্তান্তর করা হলেও এই মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ পরিচালনার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রবিধান ও নীতিমালা তৈরী না হওয়ায় তা চালাতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, গতকাল পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে পার্বত্য মন্ত্রীকে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানেরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নীতিমালা ও প্রবিধান তৈরী করে দেয়ার প্রস্তাবনা
প্রদান করেন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তি প্রদানের বরাদ্দ আগামী দিনগুলোতে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আরো বাড়িয়ে দেয়া হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি পরিষদ হতে চলতি অর্থবছরে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণকারী পড়ুয়া চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার’সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য মেধায় ২জন শিক্ষার্থীকে নগদ ৬ হাজার, ট্যালেন্টপুল ৩২জন শিক্ষার্থীকে ৪ হাজার, সাধারণ বৃত্তি ৭৯জন শিক্ষার্থীকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ১১৫ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হয়। প্রধান ও বিশেষ অতিথির কাছ থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির অর্থ, ক্রেষ্ট ও সনদপত্র গ্রহণ করেন।

রাঙ্গামাটি জেলার ১০টি উপজেলার ২০১৮ সালের জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষায় উর্ত্তীণদের মেধা যাচাই করে বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে উর্ত্তীর্ণদের মনোনীত করা হয়।

Exit mobile version