parbattanews

শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে পেকুয়ায় শোকসভা ও র‍্যালি

কক্সবাজারের চকরিয়ার কোনাখালীর মোবাইল চোর সিন্ডিকেটের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া পেকুয়ার মেধাবী শিক্ষার্থী জিহাদের শোকসভা ও দোয়া মাহফিল এবং শোক র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় এসএসসি ব্যাচ ২০১৭ এবং পেকুয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের হলরুমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম আজিজের পরিচালনায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শোকসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আ.লীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি সাইফুদ্দিন খালেদ, উপজেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুজিবুল হক চৌধুরী, সদর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।

এসময় উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম বলেন, দলমত নির্বিশেষে আমরা এক ছাঁদের নিচে সমবেত হয়েছি, শুধু একটি কারণ। সেটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পেকুয়ার মেধাবী শিক্ষার্থী জিহাদকে চকরিয়ার কোনাখালীর কুখ্যাত মোবাইল চোর সিন্ডিকেট নির্মমভাবে খুন করে। তাকে শুধু খুন করেনি তারা পেকুয়ার এক মেধাবী শিক্ষার্থীকে খুন করেছে। তারা আগামীদিনের প্রতিবাদী ও ভবিষ্যৎ নক্ষত্রকে খুন করেছে। সে আমার ছেলে। জিহাদ শব্দ হল প্রতিবাদ করা সে প্রতিবাদী ছিল। সেই কুখ্যাত খুনীরা জিহাদকে হত্যা করে তার বাবা মার বুক খালী করেছে। ইতিমধ্যে এ পরিবারে মৃত্যুর মিছিল চলছে। তার পরিবার আজ শোকাহত। ঘটনার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো একজন আসামি ছাড়া অন্য আসামিদেরকে গ্রেফতার করতে পারি নি। তাই প্রশাসনকে অনুরোধ জানাবো জিহাদ হত্যার খুনীদের অতিবিলম্বে গ্রেফতার করুন। গ্রেফতার করে ফাঁসির রশিতে ঝুলানোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা জিহাদের হত্যার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না। রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো। প্রশাসনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই সেই কোনাখালীর সিঙ্গাপুর মার্কেট ততা মোবাইল চোর, ল্যাপটপ চোর সিন্ডিকেটের আস্তানা এ চরা পাড়াটি অতিবিলম্বে অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে এসব কুখ্যাত চোরদের উৎখ্যাত করুন। জিহাদের মত আর যেনো কোন শিক্ষার্থী কিংবা কারো জীবন তাদের হাতে দিতে না হয়।

তিনি আরো বলেন, আমি কলেজের সভাপতি হিসেবে এ মেধাবী শিক্ষার্থী শহীদ জিহাদের স্মরণে এ কলেজের একটি হলরুম তার নামে নামকরণ করা হবে। জিহাদের মৃত্যু কোন ভাবে কাম্য নই।

পরে তার রুহে আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। শোকসভা ও দোয়া মাহফিল শেষে এক শোকর‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

Exit mobile version