parbattanews

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এলাকার উন্নয়নে সেই সন্তু-অংথোয়াইচিং‘র নাম গন্ধ নেই: একেএম জাহাঙ্গীর

রুমা প্রতিনিধি:

পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা বান্দরবানের শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের অগ্রগতির কোথাও কোনো সরকারের আমলেই  লক্ষ্য করা যায়নি। যে কোনো সময়ের অপেক্ষা এই আওয়ামী লীগ সরকার দেশে উন্নয়ন করেছে।  কিন্তু যে দল পার্বত্য শান্তি চুক্তির বিরোধিতা করে কালো পতাকা উত্তোলণ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছিল, সে মাম্যাচিং এর সাথে এককাতারে রয়েছে এখন জনসংহতি সমিতি।

তাদের এসব  নীতিচ্যুতি দেখে হাসি পায়। তাদের নীতি দেখে আমরা প্রায় সময় হাসি। সোমবার দুপুরে রুমা সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে আওয়ামী লীগের রুমা সদর ইউপি শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বান্দররবান জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথি একেএম জাহাঙ্গীর বলেন শান্তি-শৃঙ্খলাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলেজ, রাস্তা, কিয়াং-গীর্জা, মন্দির-মসজিদ উন্নয়নের থাতা ঘাটলে সর্ব প্রথম সামনে আসে- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের নাম। উন্নয়নের বীর বাহাদুর ছাড়া অন্য কারোর নাম খুঁজলেও পাবেনা। যে যত বলুক, জনসংহতি সমিতির সেই সন্তু লারমা ও রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা‘র এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডে তাদের নাম-গন্ধ নেই। ভবিষ্যতেও তারা উন্নয়নের ভূমিকা রাখতে পারবেনা। এ বিষয়টি এলাকার মানুষকে বুঝতে হবে।

তিনি আরো বলেন বিভিন্ন সময়ে অনেক নেতা কর্মী আওয়ামী লীগের যোগদানের কথা উল্লেখ করে বলেন তাদের ভুলত্রুটি বুঝতে পেরেছে। তাই ভুল স্বীকার করে অনেক আওয়ামী লীগে এসে জাতির স্বার্থে কাজ করছে। কিন্তু সেই দৃষ্টান্ত জনসংহতি সমিতির নেই। থাকবেও না।

একেএম জাহাঙ্গীর দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, রুমায় অনেক নেতা কর্মীকে দেখা যায়। যে কিনা মন্ত্রী বা জেলা নেতৃবৃন্দ আসলে সামনে এসে অনেক কিছু কল্পকাহিনী বানিয়ে বক্তৃতা দিতে চায়। তারপর সভা-সমাবেশ শেষ হলে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়না। এসব কর্মী আওয়ামী নীতিতে নেই। তাই যারা নিষ্ঠার সাখে কাজ করবে তাদের নতুন কমিটি নির্বাচিত করতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সদর ইউপি শাখার আওয়ামী লীগের সভাপতি কিরণ কান্তি দে‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলণে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জেলা পষিদের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক লক্ষী পদ দাশ, রোয়াংছড়ি উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান হ্লাথোয়াইহ্রী মারমা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত দাশ, রুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল বম, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মংহৈৃচিং মারমা, রুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি উহ্লাচিং মারমা, সাধারণ সম্পাদক সাংপুই বম ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জিংএংময় বম ও পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা প্রমুখ।

এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের দিলীপ দাশ, মীর নাছির উল্লাহ, আবু সিদ্দিক, যুবলগের চাইশৈহ্লা মারমা ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি উজ্জল ধর। উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন রুমা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শৈমং মারমা শৈবং।

পরে সদর ইউপি শাখার আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি কিরণ কান্তি দাশকে পুণরায় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে থোয়াইনুচিং মারমা ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নাইলিয়ান বমকে মনোনীত করে ৬৫সদস্য বিশিষ্ট সদর ইউপি শাখা কমিটি ঘোষণা করে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন প্রথান অতিথি একেএম জাহাঙ্গীর।

Exit mobile version