শীতে ডাস্ট অ্যালার্জির ৫ সমাধান

fec-image

শীতে বায়ু দূষণের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে নাক ও চোখ চুলকানো, খুসখুসে কাশি আর সর্দি লেগেই থাকে! আপনারও একই অবস্থা? আসলে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই অ্যালার্জিতে ভোগেন। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অ্যালার্জি হয় ধুলা থেকে। যাকে বলা হয় ডাস্ট অ্যালার্জি।

যেহেতু শীতে সবকিছু রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে, তাই ধুলাও বেশি হয়। তাই বাড়ে অ্যালার্জি। আর এই সমস্যা সারাতে সবাই ভরসা রাখেন ওষুধে। তবে বেশিরভাগ অ্যালার্জির ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় ঘুমঘুম ভাব হয়!

তাই ঘরোয়া উপায়ে ডাস্ট অ্যালার্জি সারাতে ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপায়ে। মাত্র ৫ উপায়েই শীতে ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে মুক্তি মিলবে। জেনে নিন উপায়গুলো-

>> মধু স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে ২ টেবিল চামচ মধু খান। আবার রাতে ঘুমানোর আগে খান ২ টেবিল চামচ। এরপর হালকা একটু গরম পানি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।

দিনে দু’বার করে এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন। ডাস্ট অ্যালার্জিতে অনেক সময় খুসখুসে কাশি হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করা না হলে বুকে কফও জমতে পারে। মধু খেলে কাশিও কমবে, আবার কফও দূর হবে।

>> শীতে বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে বাঁচতে নিয়ম করে খেতে পারেন আপেল সিডার ভিনেগার। ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন।

চাইলে স্বাদ বাড়াতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। দিনে ২-৩ বার এই পানীয় পান করুন। ডাস্ট অ্যালার্জি হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।

>> অ্যালার্জি সারাতে ব্যবহার করতে পারেন ইউক্যালিপটাস অয়েল। এজন্য ভেপারাইজারে পানি গরম করে ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েল ঢেলে ভেপার নিন। তারপর ভাপ নিন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে একবার করে ভেপার নিন।

>> ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলও অ্যালার্জির সমস্যা সমাধানে দুর্দান্ত কাজ করে।এজন্য ভেপারাইজারে পানি গরম করে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল ঢেলে ভেপার নিন।

যদি আপনার ডাস্ট অ্যালার্জি খুব বেশি হয়, তাহলে গোসলের সময়ও পানিতে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে অবশ্যই রাতে শুতে যাওয়ার আগে একবার করে ভেপার নিন।

>> ডাস্ট থেকে বাঁচার আরও এক উপায় হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি দৈনিক গ্রহণ করা। কমলা, আমলকিসহ সাইট্রাস জাতীয় সব ফল এ সময় পাতে রাখুন।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল শ্বেত রক্তকণিকার মাধ্যমে হিস্টামিন নিঃসরণ কমিয়ে আনে। ফলে শরীরের ডিটক্সিফিকেশন বাড়ে। ভিটামিন সি নাক বন্ধভাব দর করে ও শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন