‘শেরে-বাংলা শাইনিং পার্সোনালিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ পেলেন নিগার সুলতানা

fec-image

শেরে-বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক দক্ষতা ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য খাগড়াছড়ি জেলার জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান নিগার সুলতানাকে “শেরে -বাংলা শাইনিং পার্সোনালিটি অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকালে জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়োজনে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের মিলনপুরস্থ মারমা উন্নয়ন সংসদ কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সভাপতিত্ব করেন জেলা মহিলা সংস্থা’র জেলা কমিটির সদস্য ত্রিনা চাকমা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা উথান চৌধুরী’র সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, জাতীয় মহিলা সংস্থা একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যা বাংলাদেশের নারীদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। নারীর উন্নয়ন, নারীর আন্দোলন, নারীর সফলতা। যারা ভালো কাজ জানে, ভালো কাজ করেন, তারাই এই সম্মানের পদক পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে পেয়েছেন। তার এই অর্জনের জন্য গোটা খাগড়াছড়ি জেলা আনন্দিত এবং উচ্ছ্বসিত। আশা করি তিনি ভবিষ্যতে জেলাবাসীর জন্য সুনাম বয়ে আনবে।

জানা যায়, নারীর ক্ষমতায়নের ধারণা গ্রহণ করলে এমন কার্যসূচি এবং নীতি বাস্তবায়নের ফলে গোটা দেশ, সম্প্রদায় এবং গোষ্ঠী উপকৃত হয়ে যায়। নারী ক্ষমতায়ন একটি সমাজের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয়, কারণ এটি উন্নয়নের জন্য উপলব্ধ মানবসম্পদের গুণমান এবং পরিমাণ উভয় বাড়িয়ে তোলে।

দেশের বহনক্ষমতা উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমাদের সমাজের জন্য নারী ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতা অর্জন করা প্রাথমিক প্রয়োজন। অনেক বিশ্বনেতা এবং পণ্ডিতদের যুক্তি ছিল যে লিঙ্গ সমতা এবং নারী ক্ষমতায়ন না হওয়া পর্যন্ত বহনক্ষমা উন্নয়ন অসম্ভব। বহনক্ষম উন্নয়ন পরিবেশ সংরক্ষণ, সামাজিক তথা অর্থনৈতিক উন্নয়ন গ্রহণ করে এবং নারী ক্ষমতায়ন না হওয়া মহিলারা পুরুষের ব্যতিরেকে উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় সমান গুরুত্ব বোধ করে না।

এটি বহুলভাবে বিশ্বাস করা হয় যে, নারী তথা পুরুষ উভয়ের সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেবল পুরুষদের অংশগ্রহণের স্বীকৃতিতে বহনক্ষম উন্নয়নের পক্ষে উপকারী হবে না। নারী এবং উন্নতির প্রসঙ্গে, ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই নারীদের বেশি পছন্দ করতে হবে। লিঙ্গ সমতা এবং ক্ষমতায়ন না থাকলে দেশে ন্যায়বিচার হতে পারে না এবং সামাজিক পরিবর্তন ঘটে না।

নারী ক্ষমতায়ন উন্নতির জন্য একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে এবং এটি উন্নতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবদান। উন্নয়নে নারীদের সমানভাবে অন্তর্ভুক্ত না করলে নারীরা দেশের উন্নয়নে সুবিধা করতে বা অবদান রাখতে পারবে না। জাতীয় মহিলা সংস্থা নারীদের উন্নয়ন তথা পরিবার, জাতি, সমাজ ও দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা কমিটির সদস্য বাঁশরী মারমা, নারী নেত্রী ও মানবাধিকার কর্মী নমিতা চাকমা, জেলা মহিলা সংস্থার সদস্য জাহানারা বেগম, সদর উপজেলা আনসার-ভিডিপি’র কর্মকর্তা রোকেয়া পারভীন, জেলা মহিলা সংস্থার মাঠ সমন্বয়কারী জগৎ জ্যোতি ত্রিপুরা প্রমুখ।

এছাড়াও সদর উপজেলার তথ্য সেবা কর্মকর্তা তোষীকা ত্রিপুরা, বিভিন্ন উপজেলার মহিলা কর্মকর্তা, সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি, সংবর্ধনা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন