বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার মধ্য দিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দলীয় নেতাকর্মীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনা করে সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন।
শনিবার (১৫ আগস্ট) সকালের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মাটিরাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ ফরাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হুমায়ুন মোরশেদ খাঁন।
এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবুল বণিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. বাবুল আহম্মেদ, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সরকার হবি, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. হারুন মিয়া, পৌর যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তসলিম উদ্দিন রুবেল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বঙ্গবন্ধুর তর্জনীর ইশারায় নিরস্ত্র বাঙ্গালী স্বশস্ত্র হয়ে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার সূর্য মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হুমায়ুন মোরশেদ খাঁন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া। আমরা যদি যার যার অবস্থান থেকে অবদান রেখে তার স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারি, তবেই তার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। যাদের স্বাধীনতা সহ্য হয়নি তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ শাহাদাতবরণকারীদের রুহের মাগফিরাত কামনার্থে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদর মসজিদের পেশ ইমাম মাও. মো. হারুনুর রশিদ।
অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য হিরনজয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তালেব ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
