শ্রমিক নেতাকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে গেল প্রতিপক্ষরা

fec-image

কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডীতে সাদ্দাম হোসেন (৩০) নামের শ্রমিক নেতাকে এলোপাতাড়ি মারধর ও ছুরিকাঘাত করেছে প্রতিপক্ষরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ সময় দোকানের ক্যাশবক্স থেকে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কমিটি নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে ঘটনাটি হয়েছে বলে প্রাথমিক সূত্রে জানা গেছে। ঘটনায় জড়িত কেউ আটক হয়নি। আহত সাদ্দাম হোসেন কক্সবাজার জেলা অটোরিকশা টেম্পু পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি.নং-১৪৯২) এর সভাপতি ও চৌফলদন্ডী মাইজপাড়া এলাকার মনির আহমদের ছেলে।

হামলার ঘটনায় সুলতান প্রকাশ পেঠান (৩৫), জাকারিয়া (৩০), সাইয়েদ প্রকাশ সাইত্তা (২০), শাহেদ প্রকাশ শাদিয়া (২৩), রুবেল (২০), ইউনুছ (২৪), বাহাদুর (২৫)সহ আরও ৫/৬ জন জড়িত বলে জানিয়েছেন আহত সাদ্দাম হোসেন। এদের বিরুদ্ধে তিনি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন।

হামলার পর থেকে সাধারণ শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ। আহত শ্রমিক নেতা সাদ্দাম হোসেন মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।

তিনি জানান, কক্সবাজার জেলা অটোরিকশা টেম্পু পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আওতাধীন চৌফলদন্ডী লাইন পরিচালনার জন্য জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে সভার সিদ্ধান্ত মতে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ও নতুন করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট লাইন পরিচালনা কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। ওই কমিটিতে তাকে (সাদ্দাম হোসেন) সভাপতি করা হয়। তাতে ক্ষিপ্ত হয় আগের কমিটির লোকজন। ক্ষোভ থেকে হামলার ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে জানান সাদ্দাম হোসেন। ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি দিয়েছেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চৌফলদন্ডী সিএনজি স্টেশনে সাদ্দাম হোসেনের মোটর পার্টসের দোকান যায় সুলতান, জাকারিয়া, শাহেদ ও সাইয়েদসহ আরও কয়েকজন। তারা প্রথমে দোকানে বসা সাদ্দাম হোসেনের ছোট ভাই সোহেলকে মারধর করে। এরপর দোকানের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও টেবিলের ড্রয়ার থেকে আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ সময় পার্শ্ববর্তী মাইজপাড়ার একটি দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন সাদ্দাম হোসেন। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাকেও ব্যাপক মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়। এভাবে মেরেছে যে, তার সারা শরীর রক্তাক্ত জখম হয়। ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চারটি সেলাই দিতে হয়েছে।

হামলার ঘটনায় জড়িতরা বীরদর্পে চলাফেরা করলেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ভিকটিম সাদ্দাম হোসেনের। তিনি জীবনের নিরাপত্তা ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা চেয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর-উল-গীয়াস জানান, ঘটনার বিষয়ে তারা লিখিত একটি এজাহার পেয়েছেন। বিষয়টি ভালোভাবে দেখছেন। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান থানার ওসি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ছুরিকাঘাত, প্রতিপক্ষরা, শ্রমিক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন