শ্রম অধিকার নিশ্চিতে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ : শ্রম উপদেষ্টা


উপদেষ্টা বলেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা অধিকাংশই প্রত্যাহার, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ পুনর্গঠন এবং আন্তর্জাতিক শ্রম মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে শ্রম আইন সংশোধনের কাজ চলমান রয়েছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদর দপ্তরে ১১৩তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রম অধিকার সুরক্ষা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং শ্রম আইন বাস্তবায়নে আইএলওর কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ আরো নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায়।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বুধবার অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের প্ল্যানারি সেশনে বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা অধিকাংশই প্রত্যাহার, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ পুনর্গঠন এবং আন্তর্জাতিক শ্রম মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে শ্রম আইন সংশোধনের কাজ চলমান রয়েছে।
শিগগিরই শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন করা হবে। এছাড়াও, শ্রম পরিদর্শন ব্যবস্থা জোরদারে ১২২ জন নতুন শ্রম পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হবে। পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএলও কনভেনশন সি১৫৫, সি১৮৭ ও সি১৯০ অনুস্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ন্যায্য বাণিজ্য, অভিবাসন সুবিধা ও কারিগরি বৈষম্য কমানোর ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে উন্নয়ন সহযোগিতার তহবিল হ্রাস নিয়ে সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং আইএলওর কাছ থেকে শ্রম সেক্টরের উন্নয়নে আরও কারিগরি সহায়তা আশা করা হচ্ছে।
আইএলওর গভর্নিং বডি ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সাধুবাদ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ সময় ১৮৭ টি দেশের প্রতিনিধি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ ইমপ্লয়ার্স ফেডারেশন এর প্রতিনিধি, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ(টিসিসি) এর প্রতিনিধিবৃন্দ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।